রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দুপচাঁচিয়া উপজেলার খলিশ্বর বেলকা মাঠ এলাকা থেকে গত ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ডিপ মেশিন ঘরের লাইন ম্যান কে বেঁধে বৈদ্যুতিক সংযোগের ট্রান্সফরমার, বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে গেছে। জানা গেছে, উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের খলির্শ্বর বেলকা মাঠ এলাকায় স্থানীয় আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক (সাবেক মেম্বার) ডিপ মেশিন বসিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে সংযোগ নিয়ে মেশিনটি চালিয়ে আসছিল। চলতি মৌসুমে উক্ত মাঠের আলুর জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য মেশিন ঘরের লাইনম্যান একই এলাকার মৃতঃ মছির ফকিরের ছেলে হক সাহেব (৪৮) ও বদির এর ছেলে ধলা মিয়া (৪৫) কে কর্মরত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তারা ২ জন বিভিন্ন আলুর জমিতে পানি দিয়ে ডিপ মেশিন ঘরে অবস্থান করে। গভির রাতে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের কে কৌশলে ডাকে এবং ডিপ মেশিন ঘরের দরজা খোলা মাত্রই তাদের কে বেঁধে রাখে। মেশিন ঘর সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পোলের উপর থেকে ৩টি ট্রান্সফর্মার খুলে নিচে মেশিন ঘরের সামনে নিয়ে আসে। ১০ কেভি করে ক্ষমতা সম্পূর্ণ মোট ৩০ কেভি ক্ষমতা সম্পূর্ণ ট্রান্সফর্মার ৩টির ভিতর থেকে তামার তারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নেয়। এ সময় চোরের ডিপ মেশিন ঘরের ভিতর থেকেও সংযোগের তামার তার চুরি করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। ডিপ মেশিনের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক জানান, চোরেরা ৩টি ট্রান্সফর্মার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ২ লক্ষ্য টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে গেছে। এ দিকে আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন পরই কৃষকরা এই মাঠের আলু ঘরে তুলে ইরি বোরো চাষের জন্য জমি তৈরি করবে। ডিপ মেশিন ঘরটি ট্রান্সফর্মারসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ফলে এ মেশিনের আওতায় প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির ইরি বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়েছে। ঘটনাটি পূর্বের কোন শত্রুতার জের না কি প্রকৃতই চুরি এ নিয়ে এলাকার জনমনে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, ডিপ মেশিন ঘরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ট্রান্সফর্মার চুরির বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে জেনেছেন। ডিপ মেশিনের স্বত্বাধিকারী কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।