নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্প্যানিস উইঙ্গার হোয়াকিনকে বারবার দলে টানার চেষ্টা করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু কখনোই তাকে রিয়াল বেতিস থেকে টেনে নিতে পারেননি। এই উইঙ্গার অন্য কিছু ক্লাবে ঘুরেছেনও। আবার ফিরে এসেছেন নিজের ক্লাব বেতিসেই। গোল করার জন্য কখনোই বিখ্যাত ছিলেন না হোয়াইন। তবুও কেন তাকে বারবার দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালিয়েচিল রিয়াল মাদ্রিদ? সেই উত্তরটা দিয়ে দিলেন তিনি। তবে কথায় নয়, কাজে। ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় হ্যাটট্রিক করে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। সেটাও যদি আবার হয় ৩৮ বছর বয়সে, তাহলে অবাক না হয়ে উপায় নেই।
পরশু লা লিগার ম্যাচটির গুরুত্ব ছিল সবদিক থেকেই। মৌসুমে রিয়াল বেতিস ও আথলেতিক বিলবাও দুটো দলই যে ধুঁকছে। তাছাড়া স্প্যানিশ রাজনীতি ও সংস্কৃতিতেও দুই দলের ম্যাচ ভিন্ন গুরুত্ব বহন করে। এমন ম্যাচেই ভেলকি দেখালেন হোয়াকিন। ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের মুখ খুলেছেন। ১১ মিনিটে বাঁকানো শটে দলকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দিয়েছেন। আর ২০ মিনিটে পরিপূর্ণ এক স্ট্রাইকারের মতো ঠান্ডা মাথায় পূর্ণ করেছেন হ্যাটট্রিক। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম হ্যাটট্রিক! এরআগে লা লিগায় সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটি ছিল আলফ্যেডো ডি স্ট্যাফিনোর দখলে। তিনি ১৯৬৪ মৌসুমে ৩৭ বছর বয়সে এই কির্তীতে নাম লিখিয়েছিলেন। ৫৫ বছর পর এসে তার একক রেকর্ডটি কেড়ে নিলেন হোয়াকিন।
নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকেই অবশ্য রেকর্ড হয়ে গেছে হোয়াকিনের। লা লিগার ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিক করেননি কোনো ফুটবলার।
এ যুগে এসে এত বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড ভাঙা যে কারওর জন্যই কঠিন হয়ে যাবে। লা লিগার সব রেকর্ড যার দখলে সেই ৩২ বছর বয়সী মেসিও কিন্তু আগামী দুই-তিন বছরের মাঝে লা লিগার সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
নিজের প্রথম হ্যাটট্রিককেই অবশ্য শেষ বলে মেনে নিচ্ছেন হোয়াকিন, ‘আমার জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিক, আমার মনে হয় না এটা আর কখনো হবে। আমি জীবনে কখনো গোল স্কোরার ছিলাম না। অ্যাথলেটিকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন গোল করতে পেরে সত্যিই গর্বিত। আর আমার বয়স চিন্তা করলে, কাজটা সহজ না।’
এ মৌসুমে ইতিমধ্যেই হোয়াকিনের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে ৬টি গোল। পরশু নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পর চতুর্থ গোলটাও হয়তো পেতে পারতেন এই উইঙ্গার। পারেননি অল্পের জন্য। কোচ রুবি সেটা নিয়েই আক্ষেপ জানালেন, ‘দুঃখজনক যে ও চতুর্থ গোলটা হাতছাড়া করল। গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগ ওটাই ছিল। দেখিয়ে দিচ্ছে বয়স যাই হোক না কেন সে এখনো দুর্দান্ত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।