নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংলিশ কমিউনিটি শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নাকি অপয়া। এই ট্রফি জিতলে সেই সিজনে লিগ, কাপ বা ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে আর ভাল করা যায় না এমন গল্পই চর্চিত আছে ইংরেজদের মাঝে। তবে এসকল কুসংস্কারের দিকে না তাকিয়ে গতপরশু রাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিল ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। ১৬ বছর পর ১৬তম শিল্ডের মালিক হলো অলরেডরা। এই ম্যাচের মাধ্যমেই নিজ নিজ ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অভিষেক হল ডারউইন নুনেজ ও আর্লিং হালান্ডের। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে সিটির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয়া নুনেজই এই যাত্রায় কেড়ে নিলেন সকল আলো।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গতরাতের নারী ইউরোর ফাইনালের কারণে শিল্ডের ১০০তম আসরটি বসে লেস্টারের কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই অল রেডরা চড়াও হয় সিটিজেনদের উপর। ম্যাচের ২১ মিনিটে থিয়াগো, সালাহ ও আরনল্ড ত্রয়ীর দারুণ রসায়নে প্রথম গোলটি আসে। ডি বক্সের বাহির থেকে এই দর্শনীয় গোলটি করেন আরনল্ড। এগিয়ে গিয়েও আক্রমণ চালিয়ে যায় ক্লপের দল। তবে বের্নার্ডো সিলভার কল্যাণে মাঝ মাঠ সচল থাকে সিটির। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে এই সিজনে ৬০ মিলিয়ন ইউরোতে সিটিতে নাম লেখানো স্ট্রাইকার হালান্ড প্রথমার্ধেই মিস করেন দুটো চান্স।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ইংলিশ লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের চিরচেনা আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলা শুরু করে। তবে আলিসনের পরিবর্তে খেলা স্প্যানিশ কিপার এড্রিয়ানের কাছে মুখ থুবরে পরে সকল বাধা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে মাঠে নামেন ৮০ মিলিয়ন ইউরোর উরুগুয়ান স্ট্রাইকার নুনেজ। মিনিট চারেক পর সুযোগ সৃষ্টি করেও গোল পেতে ব্যর্থ হন। আরেক অভিষিক্ত আর্জেন্টাইন আলভারেজ ম্যাচের ৭০ মিনিটে সমতায় ফেরান সিটিকে। খেলা যখন চরম উত্তেজনাকর মুহুর্তে তখনই ভুল করে বসেন সিটির সেন্টারব্যাক ডিয়াজ। নুনেজের হেড থেকে আসা বল পর্তুগীজ ডিফেন্ডারের হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় মার্সিসাইডের দলটি আর সেখান থেকে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোল করতে ভুল করেননি সালাহ। অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে হেড থেকে গোল লাল জার্সিতে নিজের অভিষেক স্মরণীয় করে রাখেন নুনেজ। আর ম্যাচ শেষ হবার ঠিক আগ মুহূর্তে হলান্ড প্রতিপক্ষ কিপারকে একা পেয়েও বল বারের উপর দিয়ে মেরে দেন। মূলত এটাই ছিল এই নরওয়েজীয়ানের গোটা ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। ২০২২/২৩ মৌসুমে ইপিএলের নজর থাকবে নুনেজ ও হালান্ডের দিকে। কে এগিয়ে থাকবে তা জানতে এখনও অনেক দেরী, তবে নির্দিধাই বলা যায় প্রথম ম্যাচেই শিরোপা জিতে আত্মবিশ্বাসের শীর্ষে উরুগুয়ান নুনেজ।
এদিকে জার্মান সুপার কাপ দেখল ৮ গোলের এক ম্যাচ। লাইপজিগের রেডবুল অ্যারেনাতে রোমাঞ্চে ভরা এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হল লেভান্ডোভস্কির স্থাভিষিক্ত হওয়া সাদিও মানের। ইংল্যান্ড ছেড়ে জার্মানি গিয়েছেন কিন্তু গোল করার ক্ষুধা এবং যে কোন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা আগের মতনই আছে এই সেনেগালিজ ফরোয়ার্ডের। অভিষেকেই গোল করে ও পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করে বায়ার্ন ফ্যানদের আশ্বস্ত করলেন যে, সামনে বড় ধামাকাই নিয়ে আসছেন তিনি। ১৯৮৯ সালের সুপার কাপে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ৩-৪ গোলে হেরেছিল বাভারিয়ানরা। সেই ম্যাচের ৭ গোলের রেকর্ড ভেঙ্গে লাইপজিগকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতন সুপার কাপের শিরোপা নিজেদের করে নিল বায়ার্ন।
মুসায়ালা, মানে ও পাভার্ডের গোলে প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। নাব্রির এসিস্ট থেকে ৩১ মিনিটে গোল পান মানে, কিন্তু বিরতির ৬ মিনিটের মাথায় সেই নাব্রি আরেকটু উদার হলে ২য় গোলের দেখা পেয়ে যেতেন সেনেগালীজ সুপারস্টার। তার ৭০ ও ৮৪ মিনিটের গোল দুটি অফসাইডের ফাঁদে না পড়লে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের দেখা পেতেন। ৫৬ মিনিটে লাইপজিগের সিলভার হেড বারে প্রতিহত হলেও ৩ মিনিট পরে হলস্টেনবার্গ জালের ঠিকানা ঠিকই খুঁজে নেন।৬৫ মিনিটে নাব্রি যখন স্কোরলাইন ৪-১ করেন তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ শেষ। কিন্তু ৭৭ ও ৮৯ মিনিটে দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচকে রোমাঞ্চে পরিপূর্ণ করে স্বাগতিক ক্লাব। যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে সানে স্কোরলাইন ৫-৩ করার কিছুক্ষেনের মধ্যেই শেষ বাঁশি বাজে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।