বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপকূলীয় ৯টি জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সহস্রাধিক বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার করছে এলজিইডি। এর মধ্যে নতুন ৫৫৬টি বিদ্যালয় ভবনসহ বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও ৪৫৫টি পুরনো আশ্রয়কেন্দ্র সংস্কার করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ও সংস্কারাধীন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রগুলোর সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সাড়ে ৫শ’ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও পাঁচশ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ফলে পল্লী অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি সকলের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত হবে।
২০২১ সালের মধ্যে এ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জাভেদ করিম। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৩৭.৫ কোটি ডলার বা ২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের নিজস্ব কোষাগার থেকে ১০ কোটি টাকার ব্যয় বহন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের অগ্রগতি ৪৫%-এর বেশি। আর্থিক অগ্রগতির পরিমাণও প্রায় ৪০% বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
উপকূলীয় এলাকায় আরো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা থাকায় ২০১৪-এর ডিসেম্বরে একনেক ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’ অনুমোদন করে। বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় ৯টি জেলার মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কারের ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী দুর্যোগের সময় নিরাপদ অবস্থান লাভ করবে। উপকূলীয় জেলাসমূহে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্ট বিপদ হ্রাস করে জনগণের জন্য ঝুঁকি কমিয়ে আনবে বলে আশা করছে সরকার।
দুর্যোগের সময় জনগণ এবং তাদের সম্পত্তিসহ গৃহপালিত প্রাণিসম্পদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদান ছাড়াও প্রাথমিক ও অন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ‘সকলের জন্য শিক্ষা’র সুযোগ বৃদ্ধি করবে। ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকালে স্বল্প মেয়াদী এবং আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দীর্ঘস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং এনজিও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে এলজিইডি’র প্রকৌশলীবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের পরামর্শক সমন্বয়ে গঠিত বাস্তবায়ন ইউনিট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বলে জানা গেছে।
অতীত প্রকল্প অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) বাস্তবায়নে বেশ কিছু নতুন সংযোজন, পরিমার্জন ও পরিবর্ধণের মত বিষয় কাজে লাগানো হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর মনিটরিং, ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক বিডিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।
এছাড়াও নির্মাণ কাজে উন্নত নকশা অনুসরণ করে আশ্রয়কেন্দ্র সমূহে সুপেয় পানি এবং বিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুৎ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ছাড়াও স্টোররুম নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী ও সন্তান সম্ভবা মহিলাদের জন্য বিশেষ সুবিধাদি, প্রাথমিক চিকিৎসা ও সামাজিক কাজে ব্যবহারের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সামাজিক ও পরিবেশগত সুরক্ষা এবং এতদসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ যেখানে প্রযোজ্য সেখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী প্রতিটি দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের সুবিধার্থে ভবনের পুরো ছাদ ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভবনে বর্তমানে যে ১টি করে স্টোর রুম রয়েছে তা দ্বিগুন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।