Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে আওয়ামীলীগের সম্মেলন বৃহস্পতিবার

শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে আস্থা পদ প্রত্যাশীদের

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৩:৪৪ পিএম

৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সম্মেলনস্থল সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ইতিমধ্যে প্রস্তুত। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পদ প্রত্যাশীরা। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মন জয় করতে পদ প্রত্যাশীরা সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা সিলেটে আসতে শুরু করেছেন। সম্মেলনকে সফল করে তুলতে কাজ করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন এক সাথে হওয়ায় নেতাকর্মীরা ও বেশ উচ্ছসিৎ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সম্মেলনের উদ্ভোধন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সন্ধ্যায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্টিত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে ৫০০ ডেলিগেট তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। মঙ্গলবার দুপুরে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন নেতৃবৃন্দ। ২০০৫ সালের পর এবার সম্মেলন হচ্ছে সিলেট আওয়ামী লীগে। অন্যদিকে ২০১১ সালের নভেম্বরের পর এবার আসবে নতুন কমিটি। ফলে এবারের সম্মেলন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহের পারদ বেশ তুঙ্গে। তবে সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ না করার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র। শেখ হাসিনার মতামতের ভিত্তিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করতে পারেন। তবু ও সম্মেলনকে ঘীরে ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেঁয়ে গেছে নগরীর অলিগলি। নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক প্রানচাঞ্চল
এবারের সম্মেলনে এখনো কেউ মুখ ফুঁটে বলছেননা কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন। সবার এক কথা ‘নেত্রী দায়িত্ব দিলে নিতে রাজী’। মূলত কৌশলে প্রার্থীতার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। যাদের নিয়ে শীর্ষ পদগুলোতে আলোচনা, তাদের সিংহভাগই মুখ ফুটে বলছেন না, ‘আমি অমুক পদে প্রার্থী; কিংবা ‘আমি অমুক পদে আসতে চাই’। সবার মুখেই ‘নেত্রীর সিদ্ধান্তের’ কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। আবার যারা নিজেকে প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ করছেন, তারাও সাথে ‘নেত্রী যদি দেন’ এরকম কথা যোগ করছেন। তবে তাদের নিজেদের লোক যারা সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত তারা তাদের নেতার ছবি সম্ভলিত বড়বড় ব্যনার লাগিয়েছেন নগরীতে। এসব ব্যানারে তারা তাদের নেতাকে কোন পদে দেখতে চান সেটা উল্লেখ করেছেন। নগরীর কাজির বাজার সেতুর দক্ষিণ মোড়ে মারকাজ পয়েন্টে লালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম আহমদ সিলেট ৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে সভাপতি পদে দেখতে চান -এ রকম বিশাল বড় একটি ব্যানার টানিয়ে রেখেছেন। এভাবেই কৌশলে প্রার্থীরা তাদের নিজেদের লোক দ্বারা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচিত নেতাদের সবাই-ই ‘নেত্রী’ তথা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এবার সভাপতি পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলার সহ সভাপতি সিলেট ৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও মাসুক উদ্দিন আহমদ। সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে: অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মোহাম্মদ আবু জাহিদ, সাইফুল আলম রুহেল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, জগলু চৌধুরী এবং অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম প্রমুখ। এদিকে, মহানগরের সম্মেলনেও সভাপতি পদে নাম আসছে বর্তমান সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের। সেই সাথে সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর ও এড.রাজ উদ্দিনের নামও উঠে আসছে সভাপতি পদে। আর সাধারণ সম্পাদক পদে নাম আসছে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, এটিএম হাসান জেবুল, জগদীশ দাস, তপন মিত্র ও সিটি কাউন্সিলার সাবেক ছাত্রনেতা আজাদুর রহমান আজাদ, প্রিন্স সদরুজ্জামান এবং ছালেহ আহমদ সেলিম।
সম্মেলন নিয়ে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করছি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সম্মেলন সফল হবে। প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হবে আমি সেটা পালনে প্রস্তুত আছি। সবকিছু নির্ভর করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি হচ্ছে গণমানুষের জন্য। এখানে পদপদবী মুখ্য নয়। তবু ও নেতাকর্মীরা চাইছেন আমি যেন সভাপতি হই। সেটা মূলত নির্ভর করছে দলীয় সভানেত্রীর উপর। তিনি যাকে চাইবেন তিনিই সেই দায়িত্ব পাবেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সম্মেলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ