গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নদীপথে প্রতি মাসে ৪-৫ কেজি হেরোইন নিয়ে আসতো। মাদক পরিবহনের কৌশল হিসেবে চক্রের মুলহোতা শাকিব নারী সদস্যদের ব্যবহার করতো। তাদের মাদক কারবার চক্রে ১০-১২ জন সক্রিয় নারী সদস্য রয়েছে। এই চক্রের মূলহোতা ও দুই নারীসহ ৩ জন মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের অন্যতম হোতা মো. শাকিবুর রহমান ওরফে শাকিব (৩৫), তার স্ত্রী মোছা. রাজিয়া খাতুন (৩৩) ও মোছা. সেলিনা খাতুন ওরফে শিরিনা (৩৮)।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নওগাঁ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চক্রটি চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিয়ত ৫০০/৬০০ গ্রাম করে হেরোইন বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিতো। প্রতিটি চালান পরিবহনের জন্য বহনকারীকে ১৫-২০ হাজার টাকা দেয়া হতো। চালানের পরিমাণ বেশি হলে শাকিব বিভিন্ন সময় তার নিজের মোটরসাইকেলযোগে পরিবহন করতো। এই চালানে তিন কেজির বেশি হেরোইন থাকায় শাকিব নিজেই তা বহন করছিলেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, শাকিব তার নওগাঁর বাসায় আরও দুই কেজি হেরোইন থাকার ব্যাপারে তথ্য দেয়। পরে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তার স্ত্রী গ্রেপ্তার সেলিনা খাতুনের কাছ থেকে দুই কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, শাকিব আগে চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। গত প্রায় দুই বছর ধরে সে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তার ব্যবসায়িক সহযোগীর মাধ্যমে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে সংরক্ষণ করতো।
পরবর্তীকালে চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতো। বিভিন্ন সময় সে নিজের মোটরসাইকেলে করে বিভিন্ন স্থানেও এসব মাদকের চালান পরিবহন করতো।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় যাত্রীবাহী বাস, লঞ্চ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিদের কাছে হেরোইন সরবরাহ করতো শাকিব। হেরোইন বিক্রির টাকা সংগ্রহ করা হতো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
র্যাবের কর্মকর্তা কমান্ডার মঈন বলেন, গ্রেপ্তার রাজিয়া খাতুন শাকিবের স্ত্রী। সে তার স্বামীর মাদক কারবারের সহযোগী। গ্রেপ্তার সেলিনা খাতুন ওরফে শিরিনা শাকিবের হেরোইন চক্রের অন্যতম নারী সহযোগী। সে প্রায় এক বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার শাকিবের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে হোরোইন সরবরাহ করেছে সেলিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।