নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের জাতীয় টেবিল টেনিস (টিটি) দলের ক্যাম্পে শুরু থেকেই ছিল নানা ঝুট-ঝামেলা। বিভিন্ন ইস্যূতে জাতীয় দলের প্রস্তুতির প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই খেলোয়াড়রা ছিলেন অশান্ত। তাদের দাবী স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে তারকা খেলোয়াড়দের মনোমালিন্যা শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। তারপরও আসন্ন এসএ গেমসের ১৩তম আসরে বাংলাদেশ টেবল টেনিস দলের প্রত্যাশা রৌপ্যপদক। ২০১০ ঢাকা ও ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন লাল-সবুজের খেলোয়াড়রা। এবার নেপালে এই সাফল্য ছাড়িয়ে যেতে চান তারা। যদিও গেমসের ক্যাম্পের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম। এখানেই ছিল জাতীয় টেবিল টেনিস দলের ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে খেলোয়াড় বাছাই ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কিছু নিয়ম মানতে গিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় টিটি ফেডারেশন। বিওএ’র নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে তারা জাতীয় দল থেকে বাদ দেয় তিন তারকা খেলোয়াড়রকে। এরা হলেন-পুরুষ র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে থাকা এবং ৫ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস চৌধুরী, চারবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ও দেশের মহিলা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ খেলোয়াড় মৌমিতা আলম রুমী এবং সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সালেহা পারভিন সেতু। এই তিনজনকে বাদ দেয়ার ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তবে সেতু লিগ্যাল নোটিশ জারির পর নিজেই সরে গেলে আদালতে রিট আবেদন করেন মানস ও রুমী। শেষ মুহুর্তে আদালত মানস-রুমীদের পক্ষে রায় দিলেও সময় স্বল্পতার কারণে তাদেরকে এসএ গেমসের জাতীয় টিটি দলে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। অন্যদিকে চূড়ান্ত বাছাইয়ের পড়েও ক্যাম্পের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাদ পড়েন আরেক তারকা খেলোয়াড় খোন্দকার মাহবুব বিল্লাহ। মূলত এসব কারণেই বারবার মিডিয়ায় চাউর হয় টিটি ফেডারেশনের নাম। কিন্তু অভিজ্ঞরা দল থেকে বাদ পড়ার পরও পদকস্বপ্ন ভঙ্গ হয়নি ফেডারেশনের। যুবাদের নিয়েই তারা পদকের স্বপ্ন দেখছে।
জাতীয় টিটি দলের প্রধান কোচ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘২৫ আগস্ট ক্যাম্প শুরুর পর ১৬ জন থেকে ১২ জন চুড়ান্ত দলে স্থান পায়। ছেলেদের মাঝে ক্যাম্পে শীর্ষ বাছাইয়ে ছিল মুনতাসির আহমদে হৃদয়। কিন্তু পরিক্ষার কারণে সে অব্যহতি নেয়। সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন মানস চৌধুরী পেশাগত কারণে ক্যাম্প যোগ দেননি। আমার ধারণা মানসের অভাব অনুভুত হবে। আবরার হোসেনও প্রত্যাহার করে নেয় নিজেকে। স্বাভাবিক কারণেই এবার এসএ গেমসে বাংলাদেশ টিটি দল কিছুটা দুর্বল। তবে খুটিনাটি কিছু বিষয় বাদ দিলে আমি বলবো টিম ফুরফুরে মেজাজেই আছে। অনুশীলনে সবাই মনোযোগী ছিল। দলগত, দ্বৈত, মিশ্র দ্বৈতে পদকের টার্গেট আমাদের। এককে ক্ষীন সম্ভবনা রয়েছে। জাভেদ ও মাহী, পরাগ ও সোমা খেলবে মিশ্র দ্বৈতে। পুরুষ ও মহিলা দ্বৈতে খেলবে জাভেদ ও হাসিব জুটি, পরাগ ও হৃদয় জুটি, সোমা ও মৌ জুটি এবং রাহিমা ও মাহী জুটি।’
ডেপুটি ক্যাম্প কমান্ডার আনোয়ার কবির চৌধুরি বলেন, ‘ক্যাম্পে সার্বিক ডিসিপ্লিন থাকলে ভালো হতো। সিনিয়র জুনিয়রদের মাঝে যে মেলবন্ধন ছিল তা যেন হঠাৎ করে মিইয়ে গেল। আগের মতো পরস্পর সৌহার্দভাবে নেই। তারপরও অনুশীলনে যারা এসেছেন সবাই সিরিয়াস ছিলেন।’
দলনেতা জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘আশা করছি আমরা ব্রোঞ্জ ধরে রাখতে পারবো। তবে চেষ্টা থাকবে রৌপ্যপদক জয়ের। আমাদের লেভেলে যে প্রাকটিস পেয়েছি তা ঠিক আছে। তবে ভালো মানের কোচ হলে আর একটু ভালো হতো।’
গেমসের আগের আসরে ব্রোঞ্জজয়ী দলের সদস্য সোমা বলেন, ‘ব্রোঞ্জপদক ধরে রেখে চেষ্টা করবো নেপালে। তবে লড়বো সিলভারের জন্যই। দলের সবাই সিরিয়াস নেপালে সেরাটা দিতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।