Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ গাধা হত্যা করছে চীন : গার্ডিয়ান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:৩০ পিএম

চীনে গাধার চামড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে এক ধরনের ওষুধ। আর এর জন্য লক্ষ লক্ষ গাধাকে হত্যা করা হচ্ছে। যার ফলে আগামী পাঁচ বছরে গাধার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে। ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। চীনের ঐতিহ্যবাহী ওষুধের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর গাধাদের হত্যা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গাধার চামড়া দিয়ে এজিওয়াও কারখানার ওষুধ বানানো হচ্ছে। যেটা নাকি চীনের কয়েক হাজার বছরের ঐতিহ্য। চীনের এই ওষুধকে বলা হয় এজিওয়া। আর প্রতিবছর এই ওষুধের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন পড়ে ৪৮ লক্ষ গাধার চামড়ার।

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে যেটা অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে জানা গেছে। ২০০৭ সাল থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ২৮ শতাংশ, বতসোয়ানায় ৩৭ শতাংশ ও কাজাগিস্তানে ৫৩ শতাংশ গাধা কমে গেছে। কেনিয়া ও ঘানাতেও চামড়া ব্যবসায়ীরা ব্যাপকহারে গাধা হত্যা করায় এর সংখ্যা আরো কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও জানা গিয়েছে যে, যারা জীবিকার জন্য এইসব প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল, তাদের কাছ থেকে এসব গাধা চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার সময় এদের কোনো ধরনের খাবার-পানি দেওয়া হয় না। এতে ২০ শতাংশ গাধা যাত্রাপথেই মারা যায়। এমনকি গাড়ি থেকে নামানোর সময় কান কিংবা লেজ টেনে নিচে নামানো হয়। এতে প্রাণীটির পা ও খুর ভেঙে যেতে দেখা যায়।

ডানকি স্যাংচুয়ারির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ফেইথ বারডেন বলেন, যেখানে বাণিজ্যের যখন গাধাকে হত্যা করা হয়, সেখানে প্রাণী অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ভয়াবহ। আমরা আগে যেমনটা জানতাম, ঘটনা তার চেয়েও মারাত্মক। তিনি দাবি করেন, বিশ্বব্যাপী গাধার চাহিদা এতই বেশি যে শিশু গাধারাও চামড়া ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। অসুস্থ আহত গাধাকেও জবাই করার জন্য কসাইখানায় জড় করা হয়।

প্রাণীটি অসুস্থ কিংবা আহত হলেও তাদের চামড়া সংগ্রহে কোনেও প্রভাব পড়ে না। গত কয়েক হাজার বছর ধরে চীনের ওষুধ বানাতে এসব উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ওষুধ মানুষের রক্তস্বল্পতা কমিয়ে আনে ও রক্তসঞ্চালনে সহায়তা করে। ১৯৯২ সাল থেকে চীনে গাধার সংখ্যা ৭৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। নিজেদের অভাব পূরণে বিভিন্ন দেশ থেকে গাধা আমদানিও করছে চীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ