Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনন্দ আড্ডা প্রাণের উচ্ছ্বাস- শেষ হলো চবি অ্যালামনাইর পুনর্মিলনী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১:৪৩ পিএম

তুমুল আনন্দ আড্ডা আর স্মৃতিচারণে ফেলে আসা সোনালী দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী। দুই দিনের বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে জীবনের সেই উত্তাল সময় স্মরণ করে আপ্লুত হয়েছেন সবাই। দূরে চলে যাওয়া বন্ধুদের কাছে পেয়ে আবেগে তাড়িত হয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবার দিনভর বন্দর নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে নানা আয়োজনে মিলেছিলেন চবির হাজারো সাবেক শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাস জীবনের সোনালী অতীতের স্মৃতিচারণ, স্মৃতির স্বাক্ষর বোর্ডে স্বাক্ষর দেওয়া, কোরাসে শাটলের সেই গান, শাটল ট্রেনের ড্যামিতে বসে ছবি তোলা- সবকিছু মিলে অন্যরকম এ আয়োজনে ছিলো প্রাণের উচ্ছ্বাস। নানা আয়োজনে মুখর ছিলেন নানা বয়সের সাবেক শিক্ষার্থীরা। কিছু সময়ের জন্য হলেও তারা যেন ফিরে যান শিক্ষাজীবনের সেই উচ্ছল দিনগুলোতে। সেই পাহাড় ঘেরা ক্যাম্পাস, শাটলে তুমুল আড্ডা, ক্যাম্পাসের বন, বাগানে ঘুরে বেড়ানোর সেসব দিনের স্মৃতিচারণ করেন অনেকে।

‘প্রাণের উৎসবে মাতি উল্লাসে’ স্লোগানে বৃহস্পতিবার শুরু হয় পুনর্মিলনী। আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম থেকে ৪৯ ব্যাচের আট হাজারেরও বেশি সাবেক শিক্ষার্থী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছেন এবং তাদের বেশির ভাগই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। নগরীর চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিকতা। সিআরবি শিরিষ তলায় শোভাযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত হয় বাউল গান। সেখানে প্রাণের উৎসবে মাতেন সাবেকেরা। শুক্রবার সকালে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন। নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা ছাড়াও বর্তমান ও সাবেক ভিসিদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

সম্মাননাপ্রাপ্ত ভিসিরা হলেন- অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক বদিউল আলম, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, প্রথম পুনর্মিলনীর আহŸায়ক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন।

সাবেক ভিসিরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই অ্যাসোসিয়েশনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার আহŸান তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বহু বছর পর পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শহর থেকে আসা-যাওয়া করতাম। শাটল ট্রেনে গলা ছেড়ে গান করতাম। আমার ইচ্ছে হয়, যদি আবার সহপাঠীদের সঙ্গে গলা ছেড়ে গান গাইতে যেতে পারতাম- খুব ভালো লাগতো।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃতি অপরূপ সাজে সাজিয়েছে। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এমন সুন্দর ক্যাম্পাস খুব কম দেশেই আছে। আশা করবো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই এই মিলনমেলা হবে। যে বালু কণাকে ঘিরে আমাদের স্মৃতি, যেখানে আমরা সময় কাটিয়েছি সেখানেই আবার ফেরত যেতে চাই।
আয়োজন সর্ম্পকে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম বলেন, সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আমাদের আলোড়িত করেছে। এখন অনেক কিছু এগিয়ে গেছে, আজ মনে হচ্ছে ছাত্রজীবনে ফিরে গেছি। আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভোজ ও র‌্যাফেল ড্র।

২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান নিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জেগেছিল। তখনই বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের ২৩ ফেব্রæয়ারী নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিমকে সভাপতি এবং চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আত্মপ্রকাশ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ