রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র তা-বে পটুয়াখালীর বাউফলে রোপা আমনের ক্ষেত ল-ভ- হয়ে গেছে। বুলবুলে বিধ্বস্ত হয় প্রায় শতাধিক কাঁচা ও আধা পাঁকা ঘরবাড়ি। গাছপালা উপড়ে, খুঁটি ভেঙে ও তার ছিড়ে ক্ষতি হয় বিদ্যুৎ সঞ্চলন লাইনের। ল-ভ- হয় প্রায় ৩৬ হাজার ১ শ’ ৯০ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ। সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয় ঘের ও উচু জমিতে আবাদ করা শীতকালিন শাক-সবজিসহ রোপা আমনের সঙ্গে থাকা খেসারি ডাল।
বুলবুলের ঝড়োবাতাসে শাকসবজি ও আমনের ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে বাউফল উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী জানান, ‘বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রাক্কালে এখানের মাঠে মাঠে কৃষকের রোপিত আমন ধানে সবেমাত্র থোর বের হচ্ছিল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে রোপা আমন ও শাকসবজি। ৩৬ হাজার ১শ’ ৯০ হেক্টরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে উপসী জাতের ৭০৩ হেক্টর আবাদ করা রোপা আমন। আংশিক ক্ষতির পরিমান ৫০৮৩ হেক্টর। যার শতকরা পরিমান ১৩.৮২%। আর এতে অন্তভূক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৯শ’ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নাম।
স্থানীয় জাতের আবাদ হওয়া ১৬ হাজার ৬শ’ হেক্টর রোপা আমনের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫০০ হেক্টর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে ৬৮৫ হেক্টর। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর। যার শতকরা পরিমান ১৫%। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ২৫ হাজার ৩শ’ ২০ জন।
১৫০ হেক্টর জমির বরবটি, লাউ, লালশাক, মুলা, বাঁধাকপি, শিমসহ শীতকালিন শাকসবজি মধ্যে আক্রান্ত হয় হয় ৪৫ হেক্টর। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ২৭ হেক্টর। যার শতকরা পরিমান ৬০%। চাষির সংখ্যা ৫২৫ জন। তবে খেসারি ডালের ক্ষতি শতভাগ। এতে আক্রান্ত হয় ৪৮৫ হেক্টর। চাষির সংখ্যা মোট ১ হাজার ৯শ’ ১৩ জন। এছাড়া ৫০-৬০ হেক্টর জমির পানের বরজের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শতকরা ১৫ ভাগ। টাকার অঙ্কে শুধু কৃষি সেক্টরে ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হলেও বিনষ্ট আর চিটার পরিমান বেড়ে কেবল রোপা আমনের ক্ষতি ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্বুদ্ধ করে আগামি সপ্তাহের মধ্যে বিঘাপ্রতি জমি বাবদ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় উপজেলায় ৫৫০ জন চাষিকে বাদাম, ভূট্টাসহ বিভিন্ন বীজ ও সার বিতরণের কাজ শুরু হবে। বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা ইতোমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষকের জন্য সাহায্য সহোযোগিতা এলে তা সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছানো হবে কৃষকের কাছে। ক্ষয়ক্ষতির কারণে সরকারের এ উপজেলা থেকে এবার ১ হাজার ৪০ টাকা মন হিসেবে (২৬ টাকা কেজি) ২৫৬৪ মেট্টিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্তের কথা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।