বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার পাইকগাছার বাইশারআবাদ নদী দু’পাশের জমি দখল হওয়ায় নদীটি খুবই সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। নদীর থেকে দু’পাড়ের দখলের জমির পরিমান অনেক বেশি। উপজেলার গদাইপুর ও কপিলমুনি ইউনিয়নে বাইশারআবাদ নদী অবস্থিত। এক কালের বিশাল খরস্রোতা এ নদীটি এখন ছোট মরা খালে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু অংশ সরকারিভাবে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। বন্দোবস্তের আড়ালে যে যা পেরেছে, দখল করে নিয়েছে।
এ নদী দিয়ে বাইশাআবাদ, কচুবুনিয়া, ভেটকা, মটবাটী, পরানমালী, নোয়ালতলা, বিরাশিসহ ১০/১২টি মৌজায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্ত এখন তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেচে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে অন্যদিকে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার অবহিত করা হলেও তারা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের বিষয়ে নীরব রয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে নদীটি খনন যেমন জরুরী হয়ে পড়েছে তেমনি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে অবৈধ দখল মুক্ত করার। মঠবাটী গ্রামের বাসিন্দা ইজাহার আলী গাজী জানান, বিশাল এই নদীতে এক সময় অনেকেই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন আর সে অবস্থা নেই। নদীর গভীরতাও কমে গেছে। আগে বড় বড় নৌকা পাল তুলে চলতো। এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হতো এ নদী দিয়েই। পরানমালী গ্রামের বাসিন্দা আউয়াল শেখ বলেন অবৈধ দখলদারেরা খুব প্রভাবশালী। তাই কেউ তাদের কিছু বলে না। প্রশাসনও ব্যবস্থা নেয় না তাদের বিরুদ্ধে। নদীটি দখলমুক্ত করে পুনরায় খনন করা হলে সেচে পানির সঙ্কট সমাধানসহ এলাকায় কৃষিতে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ বলেন, উপজেলায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত রয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।