রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চলতি মৌশুমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় পুরোদমে পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। তবে এ মৌশুমে দু’দফা বৃষ্টিতে পিয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে পিয়াজের চারা সঙ্কট হতে পারে। বাজারে চড়াদামে পেঁয়াজ চারা বিক্রি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক কর্মকর্তা জাহেদুল আমিন জানান, মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৪০ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। মাগুরার শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও সদর উপজেলা ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। আর মেহেরপুর জেলায় সুখসাগার নামে একটি ভারতীয় জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। এ জাতটির ফলন বেশি হয়। মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শ্রীহট্ট গ্রামের শাহাদৎ মোল্লা জানান, তাদের এলাকায় সুখসাগর পেঁয়াজ বীজ ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি দেড়শ’ মণ ফলন হয়। কোনো কোনো জমিতে ১৮০ মন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা গোবিন্দপুর গ্রামের এবাদৎ আলী জানান, এবার ২২ কাঠা জমিতে মুড়িকাটি পেঁয়াজ চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ৮০ মন ফলন হবে। দামও ভাল। আর হালি পেঁয়াজের চাষ সবে শুরু হয়েছে।
একই উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, এবার পেঁয়াজের চারার দাম চড়া। প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ চারার অভাব আবাদ ব্যাহত হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জাহেদুল আমিন বলেন, পেঁয়াজের চারা রোপণ পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। বাজারে দাম ভাল থাকায় চাষি পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছে। বৃষ্টিতে পেঁয়াজের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। চারার অভাব দেখা দিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।