বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লবণের দাম বাড়ার খবর শুনে ঝালকাঠিতে দুই দিন ধরে দোকানগুলোতে লবণ বিক্রি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নারী পুরুষ লবণ কেনার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। লবণ কিনতে বাজার, পাড়া মহল্লা ও সড়কে ভিড় করেন তারা। শহরে লবণের মূল্য ঠিক থাকলেও গ্রামের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছেন। এতে বিপাকে পড়ে গ্রামের মানুষও লবণ কিনতে ছুঁটছেন শহরের দোকানে। অনেকে ৫ থেকে ১০ প্যাকেট কিনে বাড়ি যাচ্ছেন। এদিকে লবনের দাম বেড়েছে, এমন গুজব ঠেকাতে প্রেস ব্রিফিং করেছেন জেলা প্রশাসক। মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন ও তথ্য অফিস। এতো কিছুর পরও থামছে না লবন নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংক।
লবন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে লবনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কোথাও কোথাও লবন পাওয়া যাচ্ছে না এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ও মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে হঠাৎ পাড়া মহল্লা এবং বড় বাজারের মুদি দোকান গুলোতে লবন কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দোকানের অন্যান্য মালামাল কিনতে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। যারা দোকানে আসছে সবাই লবন কিনছে। এক প্যাকেট দুই প্যাকেট নয় সবাই কিনছে পাঁচ থেকে দশ প্যাকেট। শহরের কালিবাড়ি রোড, বড় বাজার এবং বানিয়াপট্টিতে লবন কিনতে আসা মানুষ বহনকারী ইজিবাইক ও রিকশায় যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। তবে লবন কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ঝালকাঠির ৯টি কারখানায় সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিকটন কাচামাল রয়েছে। আগামী ছয় মাসেও লবনের ঘাটতি হবে না এ জেলায়।
হোগলা পট্টির মুদি দোকানদার বিজয় সাহা বলেন, আমি প্রতিদিন ১০/১২ প্যাকেট (এক কেজি) লবন বিক্রি করতাম। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে হঠাৎ লবন ক্রেতার সংখা বেড়ে যায়। প্রতিদিন যে দামে বিক্রি করি একই দামে ২০০ প্যাকেট লবন বিক্রি করেছি।
বড় বাজারের মুদি দোকানদার মো. লাল মিয়া বলেন, একদিনে যে লবন বিক্রি করেছি তা গত এক মাসেও বিক্রি করিনি। যে ব্যাক্তি আগে এক প্যাকেট লবন কিনতো, আজ সে ৫/৬ প্যাকেট কিনছে।
লবন কিনতে আসা মো. ফটিক মিয়া বলেন, আমি অন্য কাজে বাজারে আসছিলাম, আমার স্ত্রী ফোন করে বলছে বেশী করে লবন নিয়া আইসো, দেশে নাকি লবনের সংকট তৈরি হয়েছে।
ঝালকাঠি ক্রিসেন্ট সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. সোহেল বলেন, আমাদের ফ্যাক্টরিতে পর্যাপ্ত লবন মজুদ আছে। আজ পাইকাররা একটু বেশী পরিমান লবন কিনেছে।
ঝালকাঠি চেম্বার অকমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক জয়ন্ত সাহা বলেন, ঝালকাঠিতে পর্যাপ্ত লবন উৎপাদন হচ্ছে। এখান থেকে বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় লবন পাঠানো হয়। যে পরিমান লবন ঝালকাঠির ৯টি কারখানায় রয়েছে, তাদিয়ে আগামী ছয়মাস চালানো যাবে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, লবন নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, এসব গুজবে কেউ কান দিবেন না। লবনের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এখানে ৯টি লবনের কারখানা রয়েছে, সবগুলো কারখানার মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কথা হয়েছে। এখানে কেউ মূল্য বৃদ্ধি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি টিম মাঠে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।