প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাজারে চালের দাম আবারো বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২/৩ দিনে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা। মাস দুয়েক পূর্বে উৎপাদন মৌসুমে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে স্থিরাবস্থায় থাকার পর হঠাৎ চালের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
২/৩ দিন পূর্বে ২৮ ও ২৯ ভ্যারাইটির চাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৯ টাকা দরে। নরসিংদীর বিভিন্ন বাজারে এই ভ্যারাইটির চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। কাজললতা বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা কেজি দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে। মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা কেজি দরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি দরে। বাংলামতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা কেজি দরে। এ নিয়ে গত দুই মাসে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা।
চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীরা কিছুই বলতে পারেনি। বাজারে চালের আমদানিতে কোন ঘাটতি নেই। নরসিংদী শহরসহ পুরো জেলায় কমবেশি দুই শতাধিক চালের আড়ত রয়েছে। প্রায় সকল আড়তেই চালের মজুদও রয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, চালের মূল্য বাড়ানো কমানোর মালিক হচ্ছেন মিল মালিকরা। মিলমালিকরা চালের মূল্য বাড়িয়ে দিলেই বাজারে চালের মূল্য বেড়ে যায়। দেশে চালের বাজার ব্যবস্থা মিলমালিক সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, চালের মূল্য যে বাড়বে উৎপাদন মৌসুমেই তা বুঝা গেছে। উৎপাদন মৌসুমে যখন চালের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে আর কমেনি, তখনই ধারণা করা গেছে যে চালের দাম বাড়বে। এই সময়ের ভেতর সরকার চালের মূল্য কমাতে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। দুই মাসে দুই দফায় কেজিপ্রতি চালের মূল্য ১০ থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি কোনক্রমেই স্বাভাবিক নয়।
সবচেয়ে বেশি চাল আমদানি হয় ব্রি ২৮ ও ২৯ ভ্যারাইটির। দেশের বেশিরভাগ মানুষই ২৮, ২৯ ভ্যারাইটি চাল খায়। অথচ এই ভ্যারাইটির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। ভ্যারাইটি দুটি উদ্ভাবিত হয় ১৯৯৪ সালে। একাধারে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে চাষীরা এই ভ্যারাইটি দুটি চাষাবাদের ফলে উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। চাষীরা জানিয়েছে, ধান বায়ুপরাগী বিধায় ভ্যারাইটি দুটি পলিনেটেড হয়ে গেছে। ফাউন্ডেশন সিড থেকে ফলন হতো বিঘা প্রতি ৩০ মণের উপরে। এখন উৎপাদিত হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মণ।
কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউই ধানের প্রকৃত উৎপাদন নির্ণয় করতে পারে না। যার ফলে প্রতিবছরই উৎপাদন ঘাটতি থেকে যায়। উৎপাদন ঘাটতির সুযোগ নিয়ে মিলার এবং ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছভাবে চালের মূল্য বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ জনগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।