গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পেঁয়াজ চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ, পেঁয়াজ কিনতেই টাকা শেষ,’ ‘দুর্গতির সরকার আর নাই দরকার,’ ‘পেঁয়াজ কেজি তিনশ কৃষক তুমি কিছো?’ ‘ভারতনির্ভর আমদানি নীতি মানি না মানব না,’ গণবিরোধী সিন্ডিকেট ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এবং স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগসহ পাঁচ দফা তুলে ধরা হয়। বাকি দাবিগুলো হলো- পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া, খোলাবাজারে পেঁয়াজ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির আওতা সম্প্রসারণ, কৃষিপণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমানো।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেন, ‘২০০৮ সালে সরকার ক্ষমতায় আসতে যে ইশতেহার দিয়েছিল, ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে এবং দিনবদলের সনদ দেখিয়েছিল। এমনই দিনবদলের সনদ ছিল যে আজ মানুষকে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে, পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি রান্না করতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে গণতন্ত্রের নামে নিয়ন্ত্রিত স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, আর যারা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদের গুম করা হচ্ছে অথবা প্যাকেট করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কথা বলে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। কিন্তু মানুষ নিত্যপ্রয়োজনে যা খায় তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি সরকার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।