Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ২০ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন

৭ জনকে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ২:৩৩ পিএম

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২০ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সরেজমিনে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে তদন্ত শুরু করবেন আগামী রোববার ।

কাস্টমস সুত্র জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই টিমের নেতৃত্বে আছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ( প্রশাসন) খন্দকার আমিনুর রহমান, সি আইসেলের যুগ্ন কমিশনার জাকির হোসেন ,যশোরের পুলিশ সুপার মইনুল হক, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হুসাইন চৌধুরী,ও বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম।

দুধর্ষ চুরির রহস্য উদ্ঘাটনে বেনাপোল পোর্ট থানা সহ র‌্যাব, ডিবি, সিআইডি এবং পিবিআই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বেনাপোল’র বিভিণœ স্থানে তদšত কাজ করছেন। তারা বিভিণœ ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের সথে কথা বলছেন আলাদা করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রুবার , শনিবার ও রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি ও বুলবুল এর কারনে কেউ অফিসে ছিল না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চোরেরা সোমবার ভোররাতে সকালে অফিস’র ভোল্ট ভেংগে ২০ কেজি সোনা চুরি করে নিয়ে যায়।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, কাস্টমস এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাহারুল সর্দার , সিপাহী পারভেজ, পিয়ন টিপু সুলতান, আজিবর রহমান, মহাব্বত হোসেন, সুরত আলী ও আলাউদ্দিনকে জিঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তে বেশ অগ্রগতি হয়েছে।

চুরির ঘটনায় কাস্টমস এর যুগ্ন কমিশনার শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিস্ট একটি তদšত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদšত রিপোর্ট দিতে কাজ করে যাচেছ।

কাস্টমস’র এর ডেপুটি কমিশনার এস এম শামীমুর রহমান জানান, পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৪ স্তরের নিরাপওা বেস্টনি পেরিয়ে গোপনীয় একটি কক্ষের তালা ভেঙে ভোল্ট ভেংগে ৩০ কেজি সোনার ভেতর ২০ কেজি সোনা লুট করে নিয়ে যায় দূর্বৃওরা। ভোল্টে কোটি কোটি টাকার ডলার ও টাকা থাকলেও শুধু মাত্র ২০ কেজি সোনা নিয়ে যায় তারা। ভোল্ট ভাংগার ওআগে দুর্বৃওরা সিসি ক্যামেরার সবগুলো সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভোল্টে কাস্টম, কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধার করা সোনা, ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, সহ মূল্যবান দলিলাদি ছিল।
কাস্টমস হাউসের বেশ কিছু বহিরাগত পিয়ন বিভিন্ন শাখায় অবৈধভাবে কাজ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের মধ্যে ক্যাশ শাখার দায়িত্বে থাকা পিয়ন টিপু ও আজিবর এ ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। তারা দু জনই বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে রয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন, ‘বেনাপোল কাস্টমের বোল্টে ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করে সোনা চুরি করা হয়েছে। তবে তদন্ত কাজ চলছে দ্রুতই সোনা উদ্দার সহ দুর্বৃওদের আটক করা সম্ভব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ