Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেলপথে ৪ মাসে আয় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা

বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ৪ মাসে রেলপথে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মে: টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। রেলের ভাড়া বাবদ ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। বেনাপোল রেলওয়ে সুত্র জানায়, জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে ভারত থেকে বেনাপোলে পণ্য বহন করে রেলওয়ে এ টাকা আয় করেছে। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস পণ্য, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, হলুদ, ধান বীজ, গম, চিনি, মেশিনারীজ পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে। জানা যায়, স্থলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের বনগাঁ কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সিরিয়ালের নামে ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত। করোনার শুরুতে এ ধরনের প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। এতে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়ে দেশিয় বাজারে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছরের ৪ জুন থেকে সরকার রেলে সব ধরনের পণ্যের আমদানি বাণিজ্যের অনুমতি দেয়।
চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়মের কারণে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বেনাপোল বন্দরে পণ্য রাখার জায়গার অভাব ও পেট্রাপোল বন্দরের পার্কিং সিন্ডিকেটের কারণে দীর্ঘ সময় লাগায় ব্যবসায়ীরা ট্রেনে করে পণ্য আমদানি করছেন।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, খরচ সাশ্রয় আর নিরাপদ হওয়ায় দিন দিন ব্যবসায়ীরা রেলপথে বাণিজ্যে ঝুঁকতে থাকেন। আগে মাসে ৪ থেকে ৫টি ওয়াগনে পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে প্রতিদিন কার্গো রেল, সাইডোর কার্গো রেল এবং প্যার্সেল ভ্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে লাভবান হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বর্তমানে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি সচল রয়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এ বছর আমদানি বেড়েছে। পাশাপাশি রেল খাতে সরকারের চারগুণ বেশি রাজস্ব বেশি আদায় হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়কপথে আমদানিতে নানা হয়রানির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ট্রেনে পণ্য আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারতে পেট্রাপোলে চাদাঁবাজি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও যানজটের জন্য বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় দুই দেশের ট্রেনে পণ্য আমদানি বেড়েছে। যার কারণে চলতি বছরের ৪ মাসে ৮ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, বর্তমানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সড়ক পথে স্থলপথের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রেলপথেও পণ্য আমদানি হচ্ছে। তবে বন্দরের রেল ইয়ার্ড না থাকায় পণ্য রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এরই মধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইনের সম্প্রসারণের কাজ চলেছে। এসব কাজ শেষ হলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেল পথে বাণিজ্য আরো বাড়বে। আগে রেলপথে পাথর ও জিপসাম-জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও বর্তমানে গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল স্থলবন্দর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ