Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

লাইসেন্স বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

বেনাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। গতকাল রোববার সকাল থেকে বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলা ও বাতিলকৃত সিএন্ডএফ লাইসেন্স প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের পণ্যখালাশ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। ফলে দু’পাড়ে পচনশীল পণ্যসহ আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক।

গত ২ মার্চ ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্সের (শুল্কমুক্ত) মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্স’র ২টি চালান বহনকারী ভারতীয় ট্রাকের মধ্যে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, বিস্ফোরক দ্রব্য, সিগারেট, কারেন্ট জাল, শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার সঙ্গে ভারতীয় ট্রাকচালকরা সরাসরি জড়িত থাকলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের।
ডেনিম ফেব্রিক্সের আমদানিকারক অনন্ত ফ্যাশন লিমিটেড ও আইডিএস গ্রুপ লিমিটেড। আটকের পর গত বুধবার বেনাপোলের সিএন্ডএফ শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। পরে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের শাসুল ইসলামের নামেও বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের আটক না করে সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও কর্মচারীদের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ৩ মার্চ সকালে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি, বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক ও ট্যাং লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের গতরাতের যৌথসভায় আমদানি-রপ্তানিসহ কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। লাইসেন্স পুনর্বহাল, ও মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত না করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মামলা প্রত্যাহারসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ভারতীয় একশ্রেণির ট্রাকচালকরা অর্থের লোভে দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে বৈধ আমদানি পণ্যের ট্রাকে চোরাচালানি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়কটি চালানও আটক করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ অচলাবস্থা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া বলেন, অবৈধ পণ্য আমদানির অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিসহ কার্যক্রম চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সর্বশেষ বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে আন্দোলনরত ৫টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ে। অনুষ্ঠানে কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল বন্দর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ