বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারত-বাংলাদেশের সৌহার্দ্য বেনাপোল-ঢাকা আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। করোনার কারণে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে গত দেড় বছর। পরবর্তীতে সারা দেশে ট্রেন, বিমান ও যান চলাচলে সবধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও আজও চালু হয়নি। জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে ভারতে। দু’দেশের যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন। বেনাপোল-ঢাকা রুটে ট্রেনটি চালু হওয়ার স্বস্তি মেলে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে। ট্রেনে নির্বিঘ্নে মাত্র ৬ ঘণ্টায় বেনাপোলে থেকে ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব। যেখানে পরিবহনে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা। সপ্তাহে এক দিন বিরতি দিয়ে প্রতিদিন সকাল ও রাতে এ রুটে দুটি ট্রেন চলাচল করছিল। করোনা দেখা দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকদিন চললেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ট্রেনের চলাচল পুনরায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চালু হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে বেনাপোল-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল। ভারত-বাংলাদেশে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, বেনাপোল দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর। সরকার প্রতিবছর এ বন্দর থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। ব্যবসায়ী, স্থানীয় মানুষ ও ভারতে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের সুবিধার্থে বেনাপোল-ঢাকা রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়। করোনায় বন্ধ থাকার পর সব কিছু চালু হলেও এ ট্রেনটি চালু করা হয়নি।
ফলে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রেনটি চালু হলে বেনাপোল-ঢাকার মধ্যে হাজার হাজার যাত্রীর যাতায়াত সহজ হবে। গতি বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যে। তিনি দ্রুত এই ট্রেনটি চালুর জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, একটি কুচক্রি মহল বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ করে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা কবে আবার চালু করা হবে তা আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধারণা, ভারতীয় হাইকমিশন ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করলেই ট্রেনটি পুনরায় চলাচল করবে। এখন চালু করলে যাত্রীর অভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ জানান, করোনার কারনে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় বেনাপোল এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বগি মেরামতের জন্য সৈয়দপুরের লোকোশেডে রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই ট্রেন চালু করা হবে।
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারন্সেরে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন বিরতি দিয়ে চলাচল করত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।