Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুরোনো বগি নিয়েই চালু বেনাপোল এক্সপেস

সেবার মানে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

পুরানো রেল বগি এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ছাড়াই পুরাতন বগি দিয়ে ২৩৭ দিন পর চালু হলো কাক্সিক্ষত বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের বগির মান এবং যাত্রীসেবা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বেনাপোলবাসী। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ভারতগামী অসুস্থ্য পাসপোর্ট যাত্রীদের কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনের উদ্বোধন করেন। তখন ট্রেনটি ছিল সম্পুর্ণ নতুন এবং ইন্দোনেশিয়ার তৈরি। ট্রেনটিতে ২ টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা একটি কেবিন ছাড়াও ৬ টি শোভন চেয়ারের বগি ছিল। বর্তমান ট্রেনটি ভারতের তৈরি এবং অনেকদিনের পুরাতন নড়বড়ে। ট্রেনটিতে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কোনো কামরা নেই। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ৮ মাস আগে ৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনটি। বেনাপোলের সাথে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মধ্যে পড়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস। এছাড়া করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে দেশের সব ট্রেন বন্ধ হলে বেনাপোল-ঢাকাগামী আন্তঃনগর এ ট্রেনটি সরকার বন্ধ করে দেয়।
বেশ কিছু দিন আগে সরকার সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অজ্ঞাত কারণে চালু হয়নি বেনাপোল এক্সপ্রেস। ফলে কষ্ট এবং দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে প্রতিদিন ভারত যাতায়াতকারী প্রায় ১ হাজার অসুস্থ্য পাসপোর্ট যাত্রীর। এছাড়া সড়কপথের বেহালদশা ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরিঘাটে যানজটের কারণে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। বর্তমানে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারতে যাচ্ছেন এক হাজারেরও অধিক যাত্রী। দেশে ফিরছেন অনুরুপ সংখ্যক। যাত্রীদের ৯৫ শতাংশ অসুস্থ। ট্রেন না থাকায় এসব যাত্রীদের বাড়িতে ফেরার জন্য অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বেনাপোল থেকে ঢাকায় যেতে পরিবহনে সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। সেখানে ট্রেনে নির্বিঘ্নে সাড়ে সাত ঘণ্টায় বেনাপোলে থেকে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। সপ্তাহে এক দিন গত বুধবার বিরতি দিয়ে প্রতিদিন দুপুর পৌনে ১টায় বেনাপোল এবং রাত সাড়ে ১০টায় কমলাপুর ছাড়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি দীর্ঘদিন পর বেনাপোল এসে পৌঁছালে তা এক নজর দেখার জন্য স্টেশনের ভিড় লেগে যায়। আগত দর্শনার্থীরা বেনাপোল এক্সপ্রেসে সংযুক্ত বগি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমানকে ভর্ৎসনা করে তর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন বলে জানান।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধনের পর ৮৮৬ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছিল। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধুমাত্র রেলে যাত্রীবহন বাবদ গত ১ বছরে ১৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেনটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেনাপোল এক্সপেস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ