প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
শিল্প ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য এবারও সেরা করদাতা হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, সুপ্রিমস্টার চিত্রনায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। এ নিয়ে তিনি চারবার সেরা করদাতায় ভূষিত হলেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন, অনন্ত চলচ্চিত্রে আসার আগেই দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র প্রযোজনা, পরিচালনা এবং অভিনয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। শিল্পপতি হিসেবে তিনি যেমন সফল, তেমনি চলচ্চিত্রেও তিনি ব্যাপক সাফল্য লাভ করেন। চলচ্চিত্রের অত্যন্ত মন্দাবস্থায় তিনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ করে চলচ্চিত্র শিল্পে তাক লাগিয়ে দেন। একের পর এক আধুনিক প্রযুক্তির সিনেমা নির্মাণ করে দেশের চলচ্চিত্রে পরিবর্তনের হাওয়া বইয়ে দেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সবশ্রেণীর দর্শক বিশেষ করে কলেজ-ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীসহ শিক্ষিত শ্রেণীর কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। তারা তার সিনেমা থেকে দেশীয় সংস্কৃতির মধ্য থেকে হলিউড-বলিউডের সিনেমার স্বাদ পান। আমাদের দেশেও যে আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা হতে পারে, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। দেশের চলচ্চিত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও সংস্করণের সূচনাকারি হিসেবে তিনি পথিকৃত হয়ে আছেন। অনন্তর সিনেমা মানেই নতুন কিছু এবং নতুন প্রেক্ষাপটÑএ দৃঢ় বিশ্বাস দর্শকদের মাঝে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। তার নির্মাণাধীন দ্বীন দ্য ডে সিনেমাটি ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। সিনেমাটির শূটিং বাংলাদেশসহ ইরান, অফগানিস্তান, তুরস্কের অসাধারণ লোকেশনে হচ্ছে। এর বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এত বড় বাজেটের সিনেমা আমাদের দেশে আর কখনও হয়নি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমাকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন। সিনেমাটি দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তি দেয়া হবে। এটি বাংলা, ইংরেজি, আরবী, পস্তু ও ফারসি ভাষায় নির্মিত হচ্ছে। এ ধরনের বহুভাষাভাষি সিনেমা আমাদের দেশ তো বটেই হলিউড-বলিউডেও হয়নি। এ বিবেচনায় বলা যায়, অনন্ত তার নতুন সিনেমা দ্বীন দ্য ডে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। সিনেমাটি ইরানের সাথে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে। সাধারণত ইরান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করে না। এদিক থেকে বাংলাদেশের সাথে ইরানের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করে অনন্ত নতুন রেকর্ড করলেন। শুধু ইরানের সাথে নয়, তিনি পরবর্তীতে মরক্কো, মিশরসহ অন্যদেশের সাথেও যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করবেন। এ বিবেচনায় বলা যায়, অনন্ত একাই বাংলাদেশের সিনেমাকে সত্যিকার অর্থে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশেও যে বিশ্বমানের সিনেমা নির্মিত হয়, তা তিনি বিশ্বচলচ্চিত্রাঙ্গণকে দেখিয়ে দিয়েছেন। একজন শিল্পপতি হিসেবে তিনি যেমন সফল, তেমনি একজন চলচ্চিত্রকার হিসেবেও তিনি সফল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।