পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নভেম্বরের শুরু থেকেই প্রবল তুষারপাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। প্রশাসনও পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে মিলছে না মোমবাতি, এলপিজি কয়েলও। সব মিলিয়ে ঠান্ডার প্রকোপে নাজেহাল কাশ্মীরবাসী। গত বুধবার থেকে তুষারপাত শুরু হয় কাশ্মীরে। তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপরে। বারামুলায় উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি। ওই এলাকায় প্রায় ৬ ফুট পুরু বরফ জমেছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রায় চল্লিশ জন শ্রমিক কাজ করেও বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে পারেনি। স্থানীয়দের দাবি, প্রথম দু’তিন দিন পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের তরফ থেকেও তেমন কোনও পদক্ষেপই চোখে পড়েনি। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বড় অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে যায়। খাস শ্রীনগরে মাত্র ৪০ শতাংশ বাসিন্দার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। প্রবল ঠান্ডা ও বিদ্যুতের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে কিছুটা আলো ও তাপ পাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তারা। কিন্তু বাজারে মোমবাতি, এলপিজি কয়েলেরও আকাল। কারণ নিষেধাজ্ঞার কাশ্মীরে এখনও নতুন রসদ সংগ্রহ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া নভেম্বরের শুরুতেই এমন তুষারপাতের পূর্বাভাসও দেয়নি আবহাওয়া দফতর। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতে ঘর গরম রাখার জন্য কাশ্মীরিরা যে পাত্রে আগুন জ্বালিয়ে রাখেন, সেই কাংরিও এখনও বাজারে আসেনি। খানিয়ার এলাকার বাসিন্দা শেখ ইরান বললেন, ‘‘কাশ্মীরে বুখারি নামে এক ধরনের হিটারের চল আছে। সেটাও পাওয়া যাচ্ছে না। কয়লার দোকানও বন্ধ।’’ এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় বাড়ছে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ। হাসপাতালে এমন সব উপসর্গ নিয়ে লাইন দিচ্ছেন রোগীরা। তার উপরে উপত্যকার সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগের অন্যতম পথ জম্মু-শ্রীনগর সড়কও গত কাল থেকে তুষারপাতের ফলে বন্ধ। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে শোনা যাচ্ছে প্রবল ক্ষোভের সুরও। নিশানায় নয়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন। অনেকেই জানান, ‘‘আগে তুষারপাত আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি জানাতাম আমরা। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বা মেহবুবা মুফতির উদ্দেশেও কড়া মন্তব্য করতেন অনেকে। কিন্তু এখন প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর রাস্তাও বন্ধ।’’ এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।