পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
গত বছর মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছিল সউদী আরব। কিন্তু, উদারতা দেখালেও নারীবাদী চিন্তা ভাবনা, সমকামিতা এবং নাস্তিকতার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিল দেশটি। এগুলোকে ‘চরমপন্থী ভাবনা’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে সউদী প্রশাসন।
সউদীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে নারীবাদী চিন্তাভাবনা, সমকামিতা এবং নাস্তিকতার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘এমন চরমপন্থা এবং বিকৃত মনস্কতা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ নারীবাদ, সমকামিতা এবং নিরীশ্বরবাদের মতো ধারণাগুলিকে ‘তাকফির’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ভিডিওতে। যার অর্থ ওই সব ধারণা ধর্মের পরিপন্থী। একই সঙ্গে নাগরিকদের সতর্ক করে ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘ভুলে যাবেন না, দেশের বিনিময়ে কোনও কিছু অতিরিক্ত করলে তাকে চরমপন্থা হিসাবেই গণ্য করা হবে।’
সম্প্রতি সামাজিক বিধি নিষেধ তোলা ও নারী স্বাধীনতার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন সউদীর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সরকার থেকে দেয়া হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। নারীদের বাধ্যতামূলক ভাবে অভিভাবক থাকার মতো নিয়মও বাতিল করা হয়েছে। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগেই নারীদের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার বেশ কয়েকজনে আটক করা হয়েছে। সমাজকর্মী ও কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছে, সরকার যতটা চায় সউদী সমাজ ব্যবস্থার দরজা ঠিক ততটাই খুলবে।
সউদী আইন অনুযায়ী, সমকামিতা ও নাস্তিকতা বেআইনি। অভিযোগ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু সংগঠনকে ‘চরমপন্থী’’ তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। সউদী রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, জনসমক্ষে প্রতিবাদ জানানো এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপও নিষিদ্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।