মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, ছুরি হামলা, গুলি-বিক্ষোভের আগুন প্রতিনিয়তিই বাড়ছে। রক্তাক্ত হচ্ছে হংকং। ফের গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পর অন্তত দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে বিবিসি। ফেইসবুকে একটি লাইভ ফুটেজে দেখা গেছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা বন্দুক নিয়ে সড়ক অবরোধ করা একজনের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করছেন।
এ সময় মুখ ঢেকে রাখা আরেকজন এগিয়ে এলে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেন। এরপরও ধ্বস্তাধ্বস্তি চলার মধ্যে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো দুটি গুলি করেন। ওই গুলি কোথায় গেছে ফুটেজে তা পরিষ্কার বোঝা যায়নি।
তবে গুলির পর ফুটেজে ২১ বছর বয়সের এক বিক্ষোভকারীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তার চোখ খোলা ছিল। চারপাশে ছিল রক্ত। বিবিসি কে একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জানান, “ওই ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর। তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।”
গত জুনে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো পুলিশ কাউকে সরাসরি গুলি করেছে। এর আগে গত ১ অক্টোবর চীনে কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তির দিন এক তরুণ বিক্ষোভকারীকে গুলি করেছিল পুলিশ। এরপর ৪ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর আহত হয়েছিলে। এরপর সোমবার সকালে সর্বশেষ গুলির ঘটনাটি ঘটল।
ওই ঘটনা ছাড়াও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসার পর এক বেইজিংপন্থি সমর্থকের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ফুটেজটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মারাত্মকভাবে দগ্ধ এক ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে এবং বলেছে, “তার অবস্থা গুরুতর।”
গত শুক্রবার ২২ বছরের এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর পর নতুন করে জ্বলে ওঠা বিক্ষোভের আগুনের ধারাবাহিকতায়ই সোমবার বিক্ষোভ-সহিংসতা হয়েছে। চীনের মূলভূখন্ডে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে একটি প্রস্তাবিত বিল বাতিলের দাবিতে গত জুন মাস থেকে হংকংয়ে এ আন্দোলন-বিক্ষোভ শুরু হয়।
টানা বিক্ষোভের মুখে ওই বিল প্রথমে ‘মৃত’ এবং পরে বাতিল ঘোষণা করা হলেও আন্দোলন থামেনি। বরং গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের আরো অনেক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে হংকং এর নেতা ক্যারি লাম সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে বলেছেন, তারা দাবি আদায়ে সফল হবে না। তিনি বলেন, “হংকংয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহিংসতার অবসান ঘটানোর পথ বের করতে আমরা সবরকম চেষ্টা করে যাব।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।