Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিতের ব্যাটেই ‘মহা’

ভারতের জয়, সিরিজে সমতা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:১৭ পিএম | আপডেট : ১১:৩১ পিএম, ৭ নভেম্বর, ২০১৯

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৩/৬

ভারত : ১৫.৪ ওভারে ১৫৪/২
ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
গুজরাট উপকূলে আশঙ্কা ছিল ঘূর্ণিঝড়ের। সেই ঘূর্ণিঝড় শেষ পর্যন্ত আসেনি, মাঠে গড়িয়েছে খেলা। তবে গতকাল ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটেই যেন ভর করেছিল ‘মহা’। তাতে দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচের অসাধারণ জয়ের পর সফরকারীদের অসহায় আত্মসমর্পনের দিনে ২৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় রোহিতের দল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে বাংলাদেশ। রোহিতের ব্যাটে লক্ষ্যটা হয়ে দাঁড়য় মামুলি। স্বাগতিক দলপতির ৮৫ রানের ইনিংসে শুরু থেকেই মাহমুদউল্লাহদের উপর খাকল আধিপত্য বিস্তারের ছাপ। রোহিতের ৪৩ বলের ছয়টি ছক্কা ও ছয়টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসের সুবাদে এক মুহুর্তের জন্যও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে হয়নি ভারতকে। তবে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের অপেক্ষা বাড়ল নাগপুর ম্যাচ পর্যন্ত।
রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমেই টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রোহিত। সূচনাটাও ছিল চোখ ধাঁধানো। দুবার জীবন পাওয়া লিটন দাসের (২৯) রান আউটে বিদায়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৬০ রানে। বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারে ৫৫ রান যোগ করার পরও মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। রান উঠেছে মন্থর গতিতে। যা কোনভাবেই টি-টোয়েন্টি উপযোগী ছিল না। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ নাঈম। ওয়াশিংটন সুন্দরকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৩৬ রান করা নাঈম। ক্রিজে আসেন গত ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে ফিরে গেছেন মাত্র ৪ রান করেই। দারুন খেলতে থাকা সৌম্য বড় শর্ট কেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। তবে তার ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংসটি ছিল কার্যকরী। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ গত ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে করেছেন ৩০ রান। আফিফ ৮ বল মোকাবেলা করেছেন। তার সংগ্রহ ৬। মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিল শেষ পর্যন্ত। তিনি করেছেন ৯ বলে ৭ রান। তরুণ আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও ৫ বলে ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ভারতের পক্ষে যুগবেন্দ্র চাহাল ২টি উইকেট নেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন দীপক চাহার, খলিল আহমেদ ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করেেত নেমে রোহিত-ধাওয়ানের শুরু ছিল দুর্দান্ত। দলনেতার দিনে তাকে কেবল সঙ্গ দিযে গেছে ধাওয়ান। ইনিংসের ১১তম ওভারে আমিনুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৩১ রানে ফেরেন ধাওয়ান। ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ছিল ১১৮ রান। অপরপ্রান্তে রোহিত যেই তা-ব চালিয়েছেন, তাতে টিকে লাড়াইটাও করতে পারল না টাইগার বোলাররা। তিনি যখন আমিনুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন তখন জয়টা কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বাগতিকদের। শ্রেয়াস আইয়ার ১৩ বলে ২৪ রানে ও লোকেশ রাহুল ১১ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।
নাগপুরে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রোববার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ