শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
জিওগ্রাফিক্যাল চ্যানেলে বিভিন্ন জীবজন্তুকে দেখে খুব ইচ্ছে হতো তাদেরকে কাছ থেকে দেখার। তাই আফ্রিকা যাওয়ার ইচ্ছেটাও আমার প্রবল ছিল। সেই ইচ্ছেপূরণের সুযোগটা এসে গেল আমার জামাইয়ের নাইরোবিতে পোস্টিং এর কারণে। জামাই নাইরোবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে থার্ড সেক্রেটারি হিসেবে জয়েন করলো। আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর আমন্ত্রণে আমার মেয়ের ঘরে নাতির আগমন উপলক্ষে, তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আমার নাইরোবি যাওয়ার ডাক পড়ল। আমার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ,সুতরাং আমি যেতে রাজি হলাম। সেটা ছিল নভেম্বর মাস। ওরা আমাকে বলল হালকা একটা বা দুটো শীতের কাপড় নিতে।। মেয়ে, জামাই, ও নাতির জন্য একটু কেনাকাটা করলাম। ওদের পছন্দের শুকনো খাবার বানালাম। সবকিছু গোছগাছ করে যাওয়ার প্রস্তুতি সমাপ্ত করলাম।হযরত শাহজালাল এয়ারপোর্ট থাকতেই ফোন পেলাম মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর বোডিংএ থাকতেই ফোন পেলাম আমার জন্য অপেক্ষা না করেই সে এই পৃথিবীর বুকে অর্থাৎ তার মায়ের কোলে এসে উপস্থিত হয়েছে।কাতার এয়ারওয়েজে দোহা হয়ে নাইরোবি পৌছালাম। আমার জামাই আর তিন বছরের নাতনি উপস্থিত ছিল এয়ারপোর্টে। নাতি-নাতনি টি আমাকে চেনে না, সুতরাং কিছুতেই সে আমার কাছে আসতে চাইছিল না। নাইরোবিতে দুই মাস ছিলাম আমি। কদিন পরই তার সাথে আমার এত ভাব হলো যে, চলে আসার সময়া বিদায় বেলার দৃশ্যটি খুবই মর্মস্পর্শী হয়েছিল। এমনকি উড়োজাহাজে বসেও আমি কেবল তার কান্নার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম।এই দুই মাসে ছুটির দিন ছাড়াও সুযোগ পেলেই কোথাও না কোথাও বেড়াতে গিয়েছি। নতুন নাতিটি খুবই ছোট,সবেমাত্র এসেছে এই পৃথিবীতে তাই মেয়েকে ছাড়াই জামাই আর নাতনির সাথে বেশি গিয়েছি। শুধুমাত্র মাশাইমার সাফারি পার্ক, এবারডার ন্যাশনাল পার্ক আর লেক ভিক্টোরিয়া সফরের সময় মেয়ে এবং ছোট্ট নাতনি টিও সঙ্গে ছিল।কখনো কখনো হাই কমিশনার সাহেব আর তার পরিবারও সঙ্গে থাকতেন। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়েই প্রথমে আমার যেটা মনে হল, তা হল-অবশেষে এলাম আফ্রিকা। এয়ারপোর্ট থেকে নাইরোবি যাওয়ার পথে জামাই বলল, ‹›মা আমরা নাইরোবি ন্যাশনাল পার্কের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। ‹› গাড়ির জানালা দিয়ে দেখলাম লম্বা গলার জিরাফ দল ধরে ছুটে যাচ্ছে। আমার মনে হল টিভির পর্দায়া আমার চোখ। এতটাই অবাক হলাম আমি যে নিজের চোখকে বিশ্বাস করার পর বুকের মধ্যে একটা আনন্দময় আলোড়ন অনুভব করলাম। জামাই বলল খুব কম লোকেরই এমন ভাগ্য হয়া যে, এসময় এতগুলো জিরাফ একসাথে দেখতে পাওয়া। বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা ১২ টা হল। গোসল সেরে ভাত খেয়ে হাসপাতালে গেলাম মেয়ের কাছে। নুতন নাতি টিকে দেখলাম বেবি কটে ঘুমোচ্ছে নিশ্চিন্তে।এক সপ্তাহ পরে মেয়েটি তার বাসায় এলো নতুন সদস্য সহ। টুইংকেল টুইংকেল লিটিল স্টার, জনি জনি এইসব ছড়া সুর করে হাত-পা নেড়ে বলে বলে অনেক কষ্টে নাতনিটির বন্ধুত্ব একটুখানি মিলেছে। আর যাই হোক মেয়ে বাসায় ফিরে আসার পর আমার ঘোরাঘুরি শুরু হল। প্রথমেই আমরা গেলাম নাকুরু।জামাই তার নিজের গাড়িটা স্থানীয় একজনের গ্যারেজে রেখে, তাকেসহ তার গাড়িটা নিয়েছিল। যাতে করে সে আমাদের গাইড দিতে পারে। যেহেতু আমরা থেমে থেমে এটা ওটা দেখতে দেখতে গিয়েছি তাই নাকুরু পৌঁছাতে আমাদের প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে গেল। গাড়িটা পাহাড়ের নিচে একটা সমতলভূমিতে দাঁড়ালো। গাড়ি থেকে নেমে আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মনে হল সমতলভূমির মধ্যে পানি ছড়িয়ে আছে আর তার মাঝে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার ফ্ল্যামিঙ্গো পাখি। কাছ থেকে সাদা মনে হয়, কিন্তু একটু দূরে থেকে একসাথে দেখলে হালকা গোলাপী মনে হয়া। মনে হল ঝিলের মধ্যে ফুটে রয়েছে হাজার পদ্ম।গাইড ছেলেটি গড়গড় করে বলে যাচ্ছিল, লেক নাকুরু হল রিফ ভ্যালির একটা যার পানি প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালকালাইন।গভীরতা মাত্র ১ ফুট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১৭৫৪ মাইল। লেক নাকুরু ন্যাশনাল পার্ক এর আওতাধীন। দক্ষিণ নাকুনুতে এর অবস্থান। এই লেকের পানিতে এক ধরনের পোকা তৈরি হয় যা ফ্ল্যামিঙ্গো পাখির খাদ্য। তাই এখানে এত ফ্ল্যামিঙ্গোর ভিড়। গাড়িতে উঠলাম, গাড়ি উপরে উঠতে শুরু করলো। আমরা ভ্যালির মাথায় উঠলাম। পাথরে প্রশস্ত এলাকা। এটাও ন্যাশনাল পার্ক এরিয়া। দূরে দূরে একটা-দুটো সিমেন্টের বেঞ্চ করা আছে পর্যটকদের বসার জন্য। তারের বেড়ার উপর মহাসুখ হনুমান বসে আছে। আমরা তাদেরকে কলা আর বিস্কুট খেতে দিলাম। তা দেখে আমার নাতনি টি ভারি খুশি, সেও খাওয়াবে ওদেরকে। কিন্তু কাছে যেতে ভয়া পাচ্ছিল। আমি ওকে কোলে নিয়ে ওর হাতে দুটো বিস্কুট দিলাম। হনুমান টা এক থাবা দিয়ে বিস্কুট নিয়ে অল্প একটু দূরে যে খেতে শুরু করল। আর তা দেখে আমার নাতনি টি ভারি খুশি।হাই কমিশনার সাহেবের বাড়ি থেকে বিরিয়ানি আর কোক নিয়ে গিয়েছিলো। আমার নাতনিটি কিছুতেই খাবেনা, তাকে অনেক বুঝিয়ে একটু খাওয়ালাম। তারপর আমরা খেলাম। খাওয়ার পর বেশ একটু ঘোরাঘুরি করলাম। এখানে অবশ্য হনুমান আর পাখি ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর দেখা পেলাম না। এই রিফট ভ্যালি টি ৬০০০ কিলোমিটার লম্বা।সমুদ্রের উত্তর প্রান্তের লেক তারকানা থেকে শুরু করে কেনিয়া তানজিনিয়া বর্ডারের লেক ম্যাকডি পর্যন্ত বিন্তৃত। ১৩ টি লেক রয়েছে এই রিফ ভ্যালিতে। দক্ষিণের তানজিনিয়া থেকে উত্তরের ইথিওপিয়া পর্যন্ত এর বিস্তার।পাথরের উপর হালকা ঘাসের আচ্ছাদন। কিছু বড় বড় গাছও আছে। বিপদজনক ডালগুলো তে তারের বেড়া করে দেওয়া। যাতে কেউ হঠাৎ পড়ে না যেতে পারে। মাঝে মাঝে বসার জন্য সিমেন্ট অথবা কাঠের বেঞ্চ করে দেওয়া আছে। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছিলো, আমরা ফেরার জন্য গাড়িতে উঠলাম। দুদিন বিরতির পর আবার বেরোলাম। এবার আমাদের গন্তব্য নাকুরা ন্যাশনাল সাফারি পার্ক। সাথী আমার ছোট্ট তিন বছরের নাতনি, আমার জামাই আর হাই কমিশনার সাহেব। একটা সাফারি কার ভাড়া করা হলো। পার্কে ঢোকার আগে টিকিট করা হলো। গাড়ির ছাদটা উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো। আমরা গাড়ির ভিতরে রড ধরে দাঁড়ালাম যাতে সবকিছু ভালোভাবে দেখতে পাওয়া যায়া। গাড়ি বনের ভিতর রাস্তা ধরে আস্তে আস্তে এগোতে শুরু করলো। ড্রাইভার ই গাইড। সে অনবরত বলে যাচ্ছে। আমি একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রাস্তার এদিক দেখিতো ওদিক বাদ পড়ে। আবার ওদিক দেখি তো এদিক বাদ পড়ে। দল ধরে গায়ের দাগ কাটা জেবরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রায় ২০-২৫ জন একসাথে। এমন মোহনীয়া দৃশ্য টেলিভিশনের পর্দায় নয়, নিজের চোখে দেখছি। লম্বা গলার জিরাফ দলবদ্ধভাবে। মোষদের দেখলাম দল ধরে একসাথে ঘুরছে। আমরা যে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি তাদের কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি খুবই অবাক হলাম শুনে যে, সিংহ মোষ কে ভয়া পায়। কারণ মোষরা সব সময়া একসাথে থাকে। আর ওদের সিং গুলো খুবই ধারালো। পেখম মেলা অবস্থায় ময়ূর দেখলাম। বাঘ নিশ্চিন্তে বসে আছে পা ভেঙ্গে ,কোন ভাবান্তর নেই। এখন পর্যন্ত একটিও সিংহ দেখিনি আমরা। অনেকগুলো মোষ দেখলাম একসাথে বসে আছে। আর খুব ছোট্ট ছোট্ট পাখি তাদের ঠোঁট দিয়ে ওদের দাঁত থেকে ঘাস খুঁটে খাচ্ছে।গাইড এর বর্ণনা থেকেই বোঝা গেল ওটা। না হলে বোধ হয়া বুঝতেই পারতাম না পাখিগুলো মোষের মুখের উপর কি কাজ করছে? যাহোক আমার ছোট্ট নাতনি টি জেদ করতে লাগলো সিংহ সে দেখবেই।গাইড ছেলেটি ওয়াকি টকিতে অন্যদের সাথে কথা বলে বলে সিংহ কোথায়া আছে জেনে নিল। অবশেষে খুজে বের করলো সিংহ মামাকে। নাতনি খুশিতে হাতে তালি দিল। বোনের মধ্যে মুক্ত পরিবেশে সিংহ দেখে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করলাম। দুটো সিংহ চুপচাপ পাশাপাশি শুয়ে ছিল। কতক্ষণ ঘুরে ছিলাম আমর মনে নেই। তবে বাসায়া ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হল। এরপর গেলাম অস্ট্রিচ ফার্ম দেখতে। জামাইয়ের নিজের গাড়িতে গেলাম আমরা দুই সখী। আমি আর আমার নাতনি। সেই আমার সাথী আমার সহচরি। নাইরোবি থেকে গাড়িতে এক ঘন্টার রাস্তা অস্ট্রিচ ফার্ম। ফার্মের ভেতর হাঁটার রাস্তা গাঘেঁষে তারের বেড়া। ভেতরে অবলীলায়া ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট-বড় সব রকম উটপাখি। বড় গুলো তো সত্যিই খুব বিশাল। মনে পড়ে গেল সেই রূপকথার গল্পের সেকেন্দারের কথা। যেকিনা সমুদ্র জনমানবহীন দ্বীপ দেখেছিল বিশাল বড় পাখি আর তরমুজ আকৃতির ডিম। একেবারে উটের মতো দেখতে তাই হয়াতো এর নাম উট পাখি। এত বড় জায়গা নিয়ে ফার্মটি যে একসময় আমার নাতনি বেঁকে বসল, সে আর হাঁটবে না। বাধ্য হয়ে তাকে কোলে নিতে হলো। একজন কেনিয়ান আমাদের ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিল, সে আমার নাতনিকে কোলে নিতে চাইল। কিন্তু আমার সখী টি আমার কাছে ছাড়া আর কারও কাছেই যাবে না। অগত্যা কি আর করা। গেটের কাছে অস্ট্রিচের দুটো ডিম রাখা। দখে মনে হচ্ছে বড় আকারের সাদা রংয়ের দুটো তরমুজ। বিশাল আকারের আবার ছোট রয়েছে সব অস্ট্রিচ নিজেদের খেয়াল মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। খাবার দেওয়া আছে, সেগুলো খাচ্ছে।নাতনিকে কোলে নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি সম্ভব ছিলনা ,আর একই রকম সব তাই চলে এলাম।সপ্তাহের দুটো ছুটির দিনে আমরা বাইরে বেড়াতাম। এরপর আমরা গেলাম নাইভাশা লেক দিখতে। নাইভাশা নাইরোবি শহরের বাইরে কিন্তু নাকুরু এলাকার মধ্যে। নাইরোবি লেক হল পরিষ্কার পানির লেক। আর এটাও রিফট ভ্যালির লেক। প্রায় ১৩ কিলোমিটার জায়াগা জুড়ে রয়েছে এই লেক। এর সাথেথই রয়েছে লেক নাইভাশা ফ্লামিংগো। এটা এক এক সময় নাইভাশা লেকেরি অংশ ছিল কিন্তু পরে একে আলাদা লেকের পরিচিত দেওয়া হয়েছে। কারণ লেকের এই অংশের পানি লবণাক্ত। এই লবণাক্ত পানিতে ‹ইসপিররুলিনা› নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়া। যা এই লেকের ফ্ল্যামিঙ্গো দের প্রধান খাদ্য। এই ইসপিররুলিনা নামের ব্যাকটেরিয়া জলহস্থীরও খাদ্য। তাই এই লেকে জলহস্থিও রয়েছে।আমরা যখন নাইভাষা লেকে যাচ্ছিলাম অথবা ফিরছিলাম রাস্থার দুই ধারে মরুভূমির মত মনে হচ্ছিল। মাইলের পর মাইল মনে হচ্ছিল একদম ফাঁকা। পথে বেশ কিছু গ্রীনহাউজ দেখলাম। আমাদের দেশের নৌকার ছইয়ের মতো দেখতে, বেশ অনেকটা লম্বা আর বড়। এর ভেতরে ফুল ফল আর সবজির মেলা। মূলত ফুলের চাষ হয়। কেনিয়া পৃথিবীতে বৃহৎ ফুলের চাষ করে। সোজা লম্বা ডাটার গোলাপ একমাত্র কেনিয়াতেই হয়। এইসব ফুলের চাষ করে সাধারণত ইসরায়েলিরা।তবে কিছু নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়াীরা আছে।একদিন গেলাম ভিলেজ মার্কেটে। এটা একটা বড় শপিং মল। এর মধ্যে বড় বড় ফোয়ারা আছে অনেকগুলো। পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ফোয়ারা গুলোর চারপাশে নাচ-গান হচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে পার্ক। তারমধ্যে স্টিমার, দোলনা, ট্রেন সবই রয়েছে। নাতনির ছুটে যেয়ে দোলনায়া উঠলো। একবার এটাতে উঠলো, একবার ওটাতে উঠলো। এভাবে কিছুক্ষণ খেলা করলো সে। আর আমরা বসে রইলাম। তারপর অনেকটা জোর করেই তাকে ধরে নিয়ে হাঁটতে শুরুকরলাম। একটা বড় খোলা মাঠ রয়েছে মলের ভিতর। ওখানে প্রতিবছর বিভিন্ন সময় মেলা বসে।বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন জিনিসের দোকান দেয়। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।