পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ব্যক্তিগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে আমার উপলব্ধি হয়েছে- এই দলে আমার আর কনট্রিবিউশন (অবদান) রাখার কিছু নেই। সেজন্য পদত্যাগ করেছি।’- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেছেন।
মোরশেদ খান বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর রাজনীতি নেই। এরা স্কাইপের মাধ্যমে রাজনীতি করতে চায়। এটি করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
পদত্যাগপত্র কার কাছে জমা দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে লেখা পদত্যাগপত্র আমার ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পাঠিয়েছি।
এই নেতা বলেন, শুধু বিএনপি নয়, আমি আর কোনো রাজনেতিক দলের সঙ্গেই থাকব না। সব ধরনের রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
১/১১’র সরকারের পরে দলীয় রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন জোট সরকারের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৬ সালের কাউন্সিলে তাকে দলের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ দেয়া হয়েছিল।
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সমর্থন আছে বলেও তিনি জানান।
পদত্যাগপত্রে মোরশেদ খান লিখেছেন, আজ অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে আমার এই পত্রের অবতারণা। মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমার বিবেচনায়, সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে।
একইসঙ্গে রাজনীতির অঙ্গনে নিজের দীর্ঘকালের পদচারণা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মঞ্জুর মোরশেদ খান বলেন, বিএনপি ও আপনার (খালেদা জিয়া) যোগ্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে, বর্তমানে দেশের রাজনীতি এবং দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজনের সঙ্গতি নেই। আমার উপলব্ধি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বহু বিচার-বিশ্লেষণে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক সদস্যসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি। অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।
তবে মোরশেদ খানের পদত্যাগপত্র এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বুধবার দুপুরে বলেন, পদত্যাগপত্রটি এখনও পাইনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এখনও এই পদত্যাগপত্র পাননি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী ইউনূস আলী।
বিএনপির সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চাঁদগাঁও) আসনের মনোনয়ন এবং সেখানকার দলীয় কমিটি গঠন নিয়ে মোরশেদ খান বিরক্ত ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। সেখানে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেয়া হয়। স্থানীয় কমিটি গঠনে সুফিয়ানের অনুসারীদের গুরুত্ব দেয়া হয়। এসব নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মোরশেদ খানের দূরত্ব তৈরি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।