এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
বর্তমান প্রজন্মের কাছে গুগল একপ্রকার ঈশ্বর হয়ে উঠেছে। তার কাছে হাত পাতলে কখনও নিরাশ হতে হয় না। শুধু বর্তমান প্রজন্ম কেন, আট থেকে আশি- প্রত্যেকেই গুগল থেকে যখন যা চান, তাই পান। তা সে কোনও বিল্ডিংয়ের ঠিকানা হোক বা সোনার মূল্য। দুনিয়ার সমস্ত বিষয়ের খুঁটিনাটি এক ক্লিকেই চোখের সামনে তুলে ধরে এই সার্চ ইঞ্জিন। কিন্তু এবার একটি শব্দ লিখে গুগলে সার্চ করলে আর পাওয়া যাবে না। না, প্রতিবেদক নয়। একথা জানিয়ে দিয়েছে খোদ গুগল।
তা ঠিক কী জানিয়েছে গুগল? সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, আগামী বছর থেকে ফ্ল্যাশ কনটেন্ট খুঁজলে আর পাওয়া যাবে না। কারণ ২০২০ সালেই এই মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মকে বিদায় জানাবে ইন্টারনেট। ধরুন কোনও ওয়েব পেজে যদি ফ্ল্যাশ কনটেন্ট থাকে, তাহলে গুগল তা এড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার স্ক্রিনে সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্যই দেখাবে না। আলাদাভাবে এস ডব্লিউ এফ ফাইল সূচি অনুযায়ী সংরক্ষিত রাখাও বন্ধ করে দেবে গুগল। এই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার ডং-হুই লি সোমবার একটি ব্লগে জানান, ২০১৩ সালে ৫০০ মিলিয়ন বার ফ্ল্যাশ রানটাইম ইনস্টল হয়েছে। তাঁর কথায়, “দুর্দান্ত সমস্ত অ্যানিমেশন, মিডিয়া এবং অ্যাকশনের মাধ্যমে ওয়েব পেজকে বেশ চমকপ্রদ এবং মজাদার করে তুলত ফ্ল্যাশ। যাতে কোনওভাবেই সেই ওয়েবকে একঘেয়ে না দেখতে লাগে। এটি একটি উন্নতমানের প্রযুক্তি ছিল, যা অন্যান্য কনটেন্ট প্রস্তুতকারীদের অনুপ্রেরণা দিত। প্রায় সব জায়গাতেই চোখে পড়ত ফ্ল্যাশ।”
২০১৭ সালের গোড়ার দিকে অ্যাডোব জানিয়ে দেয় এই প্রযুক্তি তারা আর সাপোর্ট করবে না। তারপরই গুগলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০২০ সালের মধ্যে ক্রোম ব্রাউজার থেকে ফ্ল্যাশ সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে দেবে তারা। ৭৬ ক্রোম ভার্সান থেকে ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাশ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।