পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গণভোট দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাশ্মীরের মুসলমানদের সার্বিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গণভোট দিয়ে জাতিসংঘের নির্দেশের প্রতি নয়াদিল্লির সম্মান দেখানোর সময় এসে গেছে। তিনি বলেন একমাত্র গণভোট হলেই কাশ্মীরে ভারত তাদের জনপ্রিয়তা উপলব্ধি করতে পারবে। ইমরান খান বলেন বহু বছর আগেই ভারত সরকার তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অবাধ ও স্বচ্ছ গণভোট দেবে বলে বিশ্ববাসীকে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তারা তা কার্যকর করে নি। পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে কাশ্মীরিদের নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরকেই নির্ধারণ করার অধিকার দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ইমরান খান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র সমাধান হল সেখানকার জনগণের অধিকার প্রয়োগ ও প্রতিষ্ঠার জন্য গণভোট দেওয়া। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের দাবীও তাই। ভারত সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনায় পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে তুলে ধরার নীতি গ্রহণ করেছে। বছর দুয়েক আগে,জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কাশ্মীরিদের স্বাধীকার প্রশ্নে একটি খসড়া প্রস্তাব পাস হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ওই খসড়া প্রস্তাবটি ১৯৩ সদস্যের সর্বসম্মত রায়ে গৃহীত হয়েছিল। ওই বিলে বলা হয়েছে ভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরবাসী তাদের স্বাধীন অধিকার প্রয়োগ করবে এবং সেখানে কোনোরকম ভারতীয় সামরিক হস্তক্ষেপ থাকবে না। ওই বিল পাসের ঘটনা ছিল ১৯৪৮ সালের পর নির্যাতিত কাশ্মীরিদের সমর্থনে ইসলামাবাদের বৃহৎ অর্জন। প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মীর থেকে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সেখানকার জনগণ। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সেখানে গণভোটের মাধ্যমে তারা তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। কিন্তু ভারত সরকার কাশ্মীর থেকে তাদের সেনাবাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার তো করেই নি,এমনকি গণভোটেরও বিরোধিতা করে আসছে। ভারত স¤প্রতি কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলুপ্ত করেছে। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। পাকিস্তান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে চীন সরকারও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সমর্থন জানিয়েছে। ইউরোপের কোনো কোনো দেশ এবং সংস্থাও ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে তারা যেন তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে। ডন, জিও নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।