Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ঐক্য, ১২ ডিসেম্বর আগাম নির্বাচন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০৭ পিএম

ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হলেও আগাম নির্বাচনের প্রশ্নে অবশেষে বিরল ঐক্য দেখালো ব্রিটিশ পার্লামেন্ট৷ ফলে ডিসেম্বরের ১২ তারিখে আগাম নির্বাচনের পরেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

১৯২৩ সালের পর ব্রিটেনে ডিসেম্বর মাসে, বড়দিন উৎসবের ঠিক আগে কখনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নি৷ কিন্তু সংসদে ব্রেক্সিট নিয়ে লাগাতার অচলাবস্থা কাটাতে জনসন এ ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখছেন না৷ তার আশা, ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেয়ে তিনি সরকার গড়তে পারবেন৷ সে ক্ষেত্রে সংসদেও টোরি দলের নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করিয়ে ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারবেন৷

ব্রেক্সিট সংক্রান্ত অচলাবস্থার জন্য টেরিজা মে ও বরিস জনসন বার বার ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে দায়ী করেছেন৷ একমাত্র চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হলেও এতকাল তারা কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ঐক্য দেখাতে পারেন নি৷ তারা কী চান না, শুধু সেটাই বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ মঙ্গলবার রাতে সেই প্রবণতা ভেঙে তারা আগাম নির্বাচনের পথ সুগম করে দিলেন৷ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব মেনে তারা ১২ই ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজন করার পক্ষে বিপুল সমর্থন জানিয়েছেন৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিটের সময়সীমা তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানোর পর ব্রিটেনের বিরোধী লেবার দল আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে৷ লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হওয়ায় তার দল আগের ঘোষণা অনুযায়ী ভোটারদের রায় জানতে প্রস্তুত৷ উদারপন্থি লিবডেম ও স্কটল্যান্ডের এসএনপি দলও ৯ই ডিসেম্বরের বদলে ১২ই ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ মেনে নিয়েছে৷ ফলে ৪৩৮ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে, মাত্র ২০ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন৷ সংসদের উচ্চ কক্ষের অনুমোদনের পর সেটি চূড়ান্ত হবে৷

উল্লেখ্য, জনসনের পূর্বসুরি টেরিজা মে-ও ২০১৭ সালে আগাম নির্বাচন ডেকে বিপুল জনসমর্থনের আশা করেছিলেন৷ কিন্তু সে যাত্রায় টোরি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে জোট সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছিল৷ জনমত সমীক্ষায় টোরি দল এগিয়ে থাকলেও ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কেও বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে কোনো পূর্বাভাষ দিতে পারছেন না৷ তবে টোরি দলের পরাজয় ঘটলে অথবা কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

ইইউ সদস্যদের সরকারগুলির পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক মঙ্গলবার তার বিদায়ী টুইট বার্তায় ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ব্রিটিশ বন্ধুদের এই বাড়তি সময় ভালভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইংল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ