পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্ক ও রাশিয়া সিরীয় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার এক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। উভয়দেশ চুক্তিটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। দীর্ঘ কূটনৈতিক বৈঠক শেষে এই চুক্তি হয়েছে। তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর ওই এলাকাগুলো তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনারা অবস্থান করছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। তুরস্ক সিরীয় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক শুরু করে গত সপ্তাহে। দেশটির কুর্দিদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। মঙ্গলবারের চুক্তি অনুসারে, সীমান্তে রাশিয়া ও তুরস্ক যৌথ টহল পরিচালনা করবে। এর মধ্য দিয়ে অঞ্চলটির ক্ষমতা কাঠামোয় পরিবর্তন ঘটাবে। কারণ এখন ওই এলাকায় তুরস্ক ও রাশিয়া সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রত্যাশিত প্রত্যাহারে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছিল তা পূরণ করবে তুর্কি-রুশ সেনারা। রুশ-তুর্কি এই চুক্তি এমন সময় হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তুরস্ক-কুর্দিদের অস্ত্রবিরতি শেষ হওয়ার পথে। এই চুক্তির ফলে অস্ত্রবিরতির সময়সীমা আরও বেড়েছে। তুরস্ক তথাকথিত সেফজোন ও সীমান্ত থেকে ৩২ কিলোমিটার ভেতরে যেতে কুর্দিদের আরও ১৫০ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। খবরে বলা হয়, ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুর্দিদের যোদ্ধাদের সহায়তা ও সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ও কুর্দি অধ্যুষিত এলাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে ৯ অক্টোবর তুরস্ক সামরিক অভিযান শুরু করে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্র রাশিয়া সীমান্তের কাছে সেনা মোতায়েন করে। তাদের আশঙ্কা ছিল, বিদেশি শক্তি সিরীয় ভূখন্ড দখল করতে পারে। সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনের ফলে তুর্কি-রুশ সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়। যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান উভয়েই এড়াতে চান। মঙ্গলবার রাশিয়ার সোচিতে বৈঠকে বসেন পুতিন ও এরদোগান। ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠক শেষে উভয় দেশ একটি চুক্তিতে সম্মত হয়। রাশিয়া তুরস্কের অভিযানকে সমর্থন জানায়। এতে করে দুই দেশের সেনাদের সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রশমিত হয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।