নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১১ দফা দাবি আদায়ে সরব ক্রিকেটাররা। স্পষ্ট ঘোষনা দিয়ে রেখেছেন, দাবি আদায় না হলে সকল প্রকার ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকেই বিরত থাকবেন তারা। সাকিব, তামিম, মুশফিক, রিয়াদদের এই হুঁশিয়ারি শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে বহুল আকাক্সিক্ষত ভারত সফর। তারা যদি ধর্মঘট প্রত্যাহার না করেন তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্নে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের খেলায় ফেরানোর কি উদ্যোগ নেবেন তাও স্পষ্ট না করে বরং বল ক্রিকেটারদের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের ‘দুয়ার’ খোলা রাখার কথা বললেন তিনি।
গতকাল সকাল থেকেই ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে সরগরম ছিল মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়। দুপুরে কয়েকজন পরিচালক নিয়ে অনির্ধারিত জরুরী সভায় বসেন বোর্ড প্রধান। সভা থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও তার কাছ থেকে আসেনি কোন স্পষ্ট ঘোষণা। বরং ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের পেছনে বাইরের কারো ইন্ধন থাকার কথা জানিয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানান দেন বিসিবি প্রধান।
উত্থাপিত দাবিগুলো না মানলে ক্রিকেটাররা কোন ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে যোগ দেবেন না, যদি তা-ই ঘটে তাহলে বিসিবির অবস্থান কি? সামনেই তো গুরুত্বপূর্ণ ভারত সফর। বোর্ড প্রধানের উত্তর, ‘খেলোয়াড়রা না খেললে খেলবে না! আমাদের কিছু করার নেই। ওরা ক্যাম্পে গেলে ভালো, না গেলে যাবে না। ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা নিজেরাও জানে না। দুই-একজন জানতে পারে। আমার দুয়ার ওদের জন্য খোলা। ওরা যদি আমার কাছে আসে, অবশ্যই কথা হবে। আমি তো কথা বলতেই চাই। আমি আশা করি, ক্যাম্প চলবে, ভারত সফর হবে।।’
তাহলে এই অচলাবস্থা নিরসনে বোর্ডের ভূমিকা কি? নাজমুল বলেন, ‘আমাদের দুয়ার তো খোলা আছে। তারা যে কোন সময় আসলে আমরা বসতে পারি। তবে তাদের তো আমরা ফোনেই পাচ্ছি না। কেউ ফোন ধরে না, ফোন করা হলে কেটে দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে। তবে দু-একজন ষড়যন্ত্রে থাকতে পারে।’
বোর্ড প্রধান ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাওয়ার দিনক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, ‘কখন তারা এটা করল? দুদিন পর ক্যাম্প শুরু হবে। বিদেশি কোচরা আসবে। দল ভারত সফরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সফরে যাবে। যে ভারত সফরটা সচরাচর পাওয়া যায় না। অনেকের দাবি ছিল, ভারতে একটা পূর্ণাঙ্গ সফর করার, আমরা সেটা করলাম। এখন তারা ধর্মঘট করছে। যদি খেলা না হয় তাহলে কার লাভ হবে?’ কেবল ভারত সফরই নয়, আগামীকাল থেকে শুরু হওয়ার কথা জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড। এই অচলাবস্থার সুরাহা না হলে জাতীয় লিগের কি হবে? বোর্ড প্রধান জানান, ‘না হলে হবে না, খেলা হবে না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেখানে অনিশ্চয়তার দোলাচল ঠিক তার উল্টো ¯্রােত বইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে। বিসিসিআই’র নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এখনও আশাবাদী সফর নিয়ে। গতকাল সকালে কলকাতায় সাংবাদিকদের সৌরভ জানান সমাধান হয়ে যাবে সব, তার বিশ্বাস সফরটা করবে বাংলাদেশ, ‘এটা তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারা এটার সমাধান করবে। তারা আসবে। (ভারত সফর)’ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে জানিয়ে সৌরভ অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন ধর্মঘট সুরাহায় তার ভূমিকা রাখার পথ নেই, ‘আমরা রোজই কথা বলছি। কিন্তু এটা (ধর্মঘট ইস্যু নিয়ে কথা বলা) আমার কাজ না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।