মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অবাধ্যতার অভিযোগে রাজসঙ্গী সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদির সকল রাজকীয় মর্যাদা ও পদবী কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজা। এ বিষয়ে সরকারি এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদি। থাই রানীর মর্যাদার সমান নিজেকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার এমন আচরণকে রাজতন্ত্রের জন্য অশ্রদ্ধা প্রদর্শন বলে বিবেচনা করা হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
রানী সুথিদাকে চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন রাজা ভাজিলংকর্ন। এর মাত্র দু’মাস পরে জুলাইতে রাজসঙ্গী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদিকে।
তিনি ছিলেন একজন মেজর জেনারেল। প্রশিক্ষিত পাইলট, নার্স ও দেহরক্ষী। প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম তাকে রয়েল নোবেল কনসোর্ট উপাধি দেয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে রানী সুথিদা ৪১ বছর বয়সী সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট এবং রাজার দেহরক্ষী ইউনিটের সাবেক উপপ্রধান। তিনি ছিলেন রাজার দীর্ঘদিনের পার্টনার। বহু বছর ধরে তাকে বর্তমান রাজার পাশে দেখা গেছে প্রকাশ্যে।
সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদির পদবী বাতিল করার ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার রয়েল গেজেটে। এর মধ্য দিয়ে রাজকীয় একজন কনসর্ট বা রাজকীয় সঙ্গীর পতন ঘটলো, যাকে বহু বছর ধরে রাজা ভাজিলংকর্নের পাশে দেখা গেছে। সুথিদার সঙ্গে রাজার বিয়ের পরেও রাজপরিবারের ইভেন্টগুলোতে নিয়মিত অতিথি হিসেবে দেখা গেছে সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদিকে।
রাজপ্রাসাদ যা বলছে
সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মে মাসে রাজাভিষেককে সামনে রেখে রানীর অভিষেক বন্ধ করতে প্রতিরোধ ও চাপ প্রয়োগের সব রকম উপায় অবলম্বন করেছেন সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদি। এতে আরো বলা হয়, রাজা তাকে রাজকীয় সঙ্গীর পদবী দিয়েছিলেন। আশা ছিল এতে চাপ ও সমস্যা, যা রাজাকে আক্রান্ত করতে পারে তা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন তিনি। কিন্তু রাজকীয় ওই সঙ্গী রাজা ও রানীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এমন কি রাজার পক্ষে নির্দেশ দিয়ে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। বিবৃতিতে রাজা বলেছেন, তাকে দেয়া পদবীর প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন না সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদি। একই সঙ্গে তার মর্যাদা অনুযায়ী যথাযথ আচরণ করেন নি। তাই তিনি তার সব রাজকীয় পদবী বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের বর্তমান রাজা চারটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রিন্সেস সোয়ামসাওয়ালি। তার সঙ্গে ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন য়ুভাধিদা পোলপ্রাসার্থ। তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। তৃতীয় স্ত্রী শ্রীরাসমি সুওয়াদি। তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। সর্বশেষ স্ত্রী হলেন বর্তমান রানী সুথিদা। বিবিসি লিখেছে, সত্যিকার অর্থে কি কারণে সিনীনাত ওংভাজিরাপাকদির রাজকীয় পদবী বাতিল করা হয়েছে তা হয়তো কখনোই প্রকাশিত হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।