Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রসবে প্রসন্না কবি হাসান হাফিজুর রহমান

প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুতুবউদ্দিন আহমেদ
‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৯৬৩) দিয়ে শুরু করেছিলেন কবি। দেশের সমস্ত প্রান্তর তখন সত্যি রীতিমত জাতি থেকে পুরোপুরি বিমুখ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। রাজনৈতিক বাতাবরণ-আবদ্ধ রহস্যের জট খুলে আমরা অনুধাবন করতে পারি, জাতি হিসেবে আমরা সত্যি সর্বক্ষেত্রে বিমুখতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। অপরিমেয় আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বটে; কিন্তু সেখান থেকে বঞ্চিত হয়েছি ভয়ানক লজ্জাজনকভাবে। সেই পাকিস্তানি বঞ্চনার শুরু হয় ভাষার ওপর ধাক্কা দিয়ে। কিন্তু ভাষার ওপর ধাক্কা তো যেনতেন ধাক্কা নয়। রীতিমত নাড়ি নিয়ে টানাটানি। এ-তো নদীর জলের ওপর ভেসে থাকা কোনো বিষয় নয় যে ধাক্কা দিলেই তা আস্তে করে সরে যাবে। মাতৃভাষা মিশে থাকে একটি জাতির নাড়ির সঙ্গে; আত্মার সঙ্গে। ইচ্ছে করলেই  তা সরিয়ে দেয়া যায় না। তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার সেই ব্যর্থ চেষ্টাটাই করেছিল।  কবি হাসান হাফিজুর রহমানের [১৪ জুন, ১৯৩২ Ñ ১ এপ্রিল ১৯৮৩] কাব্যচর্চা শুরু মূলত সেই ভাষা আন্দোলন থেকেই। বলা যায় তিনি ভাষা আন্দোলন থেকেই উদ্গত; ভাষা আন্দোলনের অমৃত সন্তান। ভাষা আন্দোলনের অব্যবহিত পর তিনি ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) সংকলন প্রকাশ করেন। সংকলনটিতে স্থান হয়েছিল ঐ সময়ের তরুণ ও প্রতিশ্রতিশীল কয়েকজন লেখকের। সেই সংকলনটিতে কবিতা লিখেছিলেন : শামসুর রাহমান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, আবদুল গণি হাজারী, ফজলে লোহানী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আনিস চৌধুরী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, জামালুদ্দিন, আতাউর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক এবং হাসান হাফিজুর রহমান। গল্প লিখেছিলেন : শওকত ওসমান, সায়িদ আতীকুল্লাহ, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম এবং আতোয়ার রহমান। একুশের গান লিখেছেলেন : আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এবং তোফাজ্জল হোসেন। একুশের ইতিহাস লিখেছিলেন কবিরউদ্দিন আহমদ। ধরা হয় এটিই ভাষা আন্দোলনের প্রথম সাহিত্য সংকলন। এই সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়েই কবি হাসান হাফিজুর রহমানের সাহিত্যজগতে উত্থান এবং পরিচিতি। কেননা সংকলনটির একইসঙ্গে সাহিত্যিক এবং ঐতিহাসিক সমান গুরুত্ব রয়েছে।
   বিমুখ প্রান্তরে কবি চিন্তাচেতনায় স্থিতিশীল থাকতে পারেননি। ইতিবাচক, নেতিবাচক নানান জিজ্ঞাসা এবং সন্দেহের-দোলাচলে,
আত্মায়Ñকায়ায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। এই আশায় বুক বেঁধেছেন আবার পরক্ষণেই তিনি আশাÑনিরাশার দ্বন্দ্বে মর্মাহত হয়েছেন। আশা-নিরাশার দোলাচলে, বিক্ষিপ্ত ভাবনার জোয়ারে সাগরের ঢেউয়ের ফেনার মতো আছড়ে পড়েছেন, প্লাবিত হয়েছেন সমুদ্রের তটরেখায়। সামাজিক, রাষ্ট্রিক আবহ তাঁকে পিছু ছাড়েনি। আর একজন প্রকৃত কবির বৈশিষ্ট্য তো তাই। তিনি পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের আবহে বাতাসে বৃক্ষশাখার ন্যায় আন্দোলিত হবেন। তিনি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে এদেশের মানুষের জন্য খুব বেশি আশার আলো খুঁজে পাননি। খুঁজে পাওয়ার কথাও ছিল না। বিমুখ প্রান্তর যে বছর আলোর মুখ দেখে; ব্যক্তিজীবনে তিনি নিজেই ছিলেন ঐ সময়ে দুর্দশাগ্রস্ত। বিমুখ প্রান্তর প্রকাশের বছরই তিনি জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে অন্যায় এবং অযাচিতভাবে চাকরিচ্যুত হন। তাই দেখা যায় ব্যক্তিজীবনেও তিনি বিমুখ প্রান্তরের মুখোমুুখি হয়েছিলেন। যদিও কবির বিমুখ প্রান্তরের প্রস্তুতি চলছিল পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকেই অর্থাৎ ভাষা আন্দোলনের অব্যবহিত পরই। তিনি যখন লেখেন :
              মরা মাটি ফুঁড়ে ওঠে জীবনের কায়া
              লাল ত্বকে সবুজাভ ক্ষীণ তরু
              হলুদ বসন্ত ওরে দেখা দিবি নাকি এই
              বিমুখ প্রান্তরে    
                               [ বিমুখ প্রান্তর : বিমুখ প্রান্তর ]
    তিনি এদেশের মাটিকে ‘মরা’ বলেছেন। কেন? তিনি কি এ দেশের মাটিতে ফসলের কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাননি? মরা মানে কি বন্ধ্যা, উষর, অনুর্বর? না, তিনি জন্মভূমির মৃত্তিকাকে সরাসরি অনুর্বর বলতে চাননি; জিজ্ঞাসা করেছেন মাত্র। তবে তাঁর এ জিজ্ঞাসার উত্তরে হ্যাঁবোধক উত্তরই আশা করা যায়। অন্তত তিনি তাই আশা করেন।
    অর্থাৎ দেশ আর দেশের মানুষকে নিয়ে কবির মনে প্রথম থেকে শেষাবধি নৈরাশ্যই দানা বেঁধেছিল। দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে তিনি আশা করার মতো তেমন কোনো আলোর সুড়ঙ্গ পথ দেখতে পাননি। সেটা তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলোর নামকরণ লক্ষ্য করলেই উপলব্ধি করা যায়। প্রসঙ্গত তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো: বিমুখ প্রান্তর (১৯৬৩), আর্ত শব্দাবলী (১৯৬৮), অন্তিম শরের মতো (১৯৬৮), যখন উদ্যত সঙ্গিন (১৯৭২), বজ্রে চেরা আঁধার আমার (১৯৭৬), শোকার্ত তরবারি (১৯৮২), আমার ভেতরের বাঘ (১৯৮৩) এবং ভবিতব্যের বাণিজ্যতরী (১৯৮৩)। অর্থাৎ এ গ্রন্থগুলোর নামকরণের ভেতর দিয়ে কেবল নৈরাশ্যই ঝরে পড়ছে শুধু। ‘ফোটে না কলির মতো/ জন্ম নেই শিশু নেই’ Ñ এ এক চরম নৈরাশ্যেরই ধারা। প্রিয় জন্মভূমির কোথাও সম্ভাবনার এতটুকু দুয়ার খোলা দেখেন না। এ কথাটিই তিনি আরেকটি রচনায় লিখেছেন : ........স্বাধীন জাতির গুণসমূহ আমাদের মধ্যে বিকশিত হয়নি। দীর্ঘকালীন পরাধীনতার দরুনই একটি গতিসম্পন্ন জাতির সম্ভাবনাবীজ আমাদের মধ্যে অবদমিত। আমাদের এখন যা অবস্থা তাতে উৎকর্ষম-িত সক্রিয়তার ক্ষেত্রে পদে পদে বাধা, অভাবগ্রস্ততা বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে। [সাম্প্রতিক কবিতা : শিল্প বনাম যুগচেতনা : আধুনিক কবি ও কবিতা (১৯৬৫) ]

              শব্দ যেন অক্ষমের আর্তধ্বনি
              চিৎকার করি, চিৎকার করি
              সূর্যের আগ্নেয় জ্বালা চাই আর
              ধ্বনিতে ধ্বনিতে তীক্ষè হোক ভাষা,
              ভাষা কণ্ঠহারা কণ্ঠের গহনে শুধু
                                মৃত আশা কাঁপে
                                (বিমুখ প্রান্তর : বিমুখ প্রান্তর )
      কবি শব্দকে অক্ষমের আর্তধ্বনি বলেছেন। কবি কি এখানে তিরিশীয় কবিদের ঈঙ্গিত করেছেন? যারা শব্দকে কেবল শিল্পের বাহন বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন? বাংলা ভাষার তিরিশীয় কবিরা কবিতাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, তা আর সাধারণ মানুষের দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছুতে  পারত না। কবিতা হয়ে গেল কিছুসংখ্যক মানুষের শিল্পমাধ্যম; যা কেবল কিছু ভাববিলাসী মানুষের মনের খোরাক জোগাতে সক্ষম। তাদের কথার সারাৎসার হলোÑ শিল্প শিল্পের জন্য; শিল্প সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হতে পারে না; শোষকের বিরুদ্ধে কামানের গোলা হতে পারে না। হাসান হাফিজুর রহমান হয়তো তাই তিরিশীয় কবিদের শব্দনির্মিতিকে অক্ষমের আর্তনাদ বলতে চেয়েছেন; যা মানুষের কল্যাণকর্মে না এসে ভাববিলাসী মানুষের মাদকে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু সত্য হলো কবি Ñ কবিতার এ করুণদশা থেকে উত্তরণ চেয়েছেন; চেয়েছেন কবিতা পৌঁছে যাক সাধারণ মানুষের উঠোনে। কবিতা হোক খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের ভাষা। অনেকক্ষেত্রেই কবি তিরিশীয় কবিদের প্রশংসা করলেও শেষ পর্যন্ত বলেছেন : ---এতদসত্ত্বেও এ-কথা লক্ষ্য না-করে উপায় নেই যে, ত্রিশের কবিদের স্বাতন্ত্র্যপ্রয়াসী অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষাই বিফলে গেছে। [সাম্প্রতিক কবিতা : কতিপয় প্রবণতা ও সঙ্কট : আধুনিক কবি ও কবিতা ]
     হাসান হাফিজুর রহমান তাঁর সমসাময়িক কবিতা নিয়েও হৃষ্টচিত্ত ছিলেন না। একই রচনায় তিনি বলেছেন, ---একথা বলার সময় কি এখনও আসেনি যে, সামগ্রিকভাবে বাংলা কবিতার পাঠক আগের চেয়ে অনেক কমেছে, শিক্ষিতের হার বাড়া সত্ত্বেও? আমাদের কবিরা এবং তাদের অতিবিদগ্ধ উচ্চমন্য সমঝদাররা আর কতদিন শুধুমাত্র পাঠকের ওপর দোষ চাপিয়ে অন্যকে মূর্খ ভেবে নিজেকে জ্ঞানী ভাবার আত্মপ্রসাদে মুগ্ধ থাকবেন?
      কবির করুণ আক্ষেপ :
              স্বনাম ভুলেছি আমি
              কৌতুকের পাশব খেলায়
              জন্ম মৃত্যু ঘুঁটি চালি
                            নিতান্ত হেলায়
              দিনযাপনের কালে প্রাণধারণের দেশে
              বেলা বয়ে যায়
                               [ বিমুখ প্রান্তর : বিমুখ প্রান্তর ]            
      জাতি হিসেবে রয়েছে আমাদের হাজার বছরের বর্ণাঢ্য ইতিহাস। ইতিহাসের বাঁকে-বাঁকে রয়েছে আমাদের স্বর্ণক্ষচিত অসংখ্য অর্জন; যা নিয়ে আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। আমাদের রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট অতীত, ঐতিহ্যের সুষমা। জাতি হিসেবে আমাদের রয়েছে মাটির গভীরে গ্রথিত শিকড়। এ শিকড়ের রয়েছে নানা বর্ণিল শাখা-প্রশাখাও। কিন্তু কষ্টকর বিষয় যে, আমরা আমাদের সেই গভীর মৃত্তিকায় গ্রথিত শিকড়ের কথা ভুলে যেতে বসেছি। আমরা অবলীলায় হারাতে বসেছি ব্যক্তি সাতন্ত্রবোধ। এই বোধ থেকেই হয়তো কবি হাসান হাফিজুর রহমান আক্ষেপ করেছেন। তিনি একটি গদ্যে লিখেছেন : সাম্প্রতিক কাব্য আন্তর্জাতিকতার নামে দেশÑবিচ্যুত হয়েছে, মৌলিকত্বের নামে বিকারের পরিচর্যা করছে। ফলে অকল্যাণের পথ খুলে দিচ্ছে অবারিত করে নিজের অজান্তেই। সাম্প্রতিক কাব্য সম্পর্কে এই দুটিই প্রধান অভিযোগ। সাম্প্রতিক কাব্য যেন বাংলার শরীরে পুঁজসিক্ত বিদেশ। [ সাম্প্রতিক কবিতা :     কতিপয় প্রবণতা ও সঙ্কট : আধুনিক কবি ও কবিতা ]
      পাবনা নিবাসী বিশিষ্ট হিন্দু সাধক  অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর বলেছিলেন, জীবন কষ্টময়। কবি হাসান হাফিজুর রহমানেরও জীবন সম্পর্কে পাঠ অভিন্ন। তার কাছে জীবনটা নিরানন্দময় হয়ে ধরা দিয়েছে। জীবনের নির্যাস পান করে তার কাছে তেঁতো মনে হয়েছে। তাঁর বেশকিছু কবিতায় জীবনের পাঠ অপরিচ্ছন্ন হয়ে ধরা দিয়েছে। তাঁর ছিল বহুবর্ণিল কর্মময় জীবন। তা সত্ত্বেও জীবন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সমস্তজীবন খুঁজেছেন তিনি একটি আনন্দধ্বনি :
                 আমি একটি আনন্দধ্বনির জন্য
          কান পেতে থাকি, রূপকে প্রতীকে উপমায় তুলনায়।
                 কোথায় তুমি আনন্দধ্বনি? জীবন, তুমি কি
                [একটি আনন্দধ্বনির জন্য :শোকার্ত তরবারী ]
      জীবনের বৈরিতা তাকে কষ্ট দিয়েছে; তারপরও তিনি একেবারে নিরানন্দ জীবন অতিবাহিত করেননি। জীবনকে তিনি মহিমা দিতে চেয়েছেন ভোগের মধ্য দিয়ে নয়, স্বদেশের মানুষের জীবনের মধ্য দিয়ে তিনি জীবনকে পরিপূর্ণতা দিতে চেয়েছিলেন। সৃজনকর্ম ছিল তার জীবনের একমাত্র প্রার্থনার বিষয়। সৃজনই জীবন আর এই সৃজনের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে এদেশের সকল মেহনতি মানুষের জীবনকলা Ñ এ-কথা তিনি বিশ্বাস করতেন অন্তর দিয়ে। নিজের সৃষ্টি শব্দবন্ধ ‘প্রসবে প্রসন্না’র সার্থক তুলনা তিনি।
      কবি হাসান হাফিজুর রহমান পঞ্চাশের দশকের একজন বিশিষ্ট কবি। নানা কারণেই তিনি একজন গুরুপূর্ণ কবি। ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’র স্রষ্টা তিনি। আমাদের ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দলিল’ সংকলকও তিনি। সুতরাং সাহিত্যের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। সুতরাং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তিনি অবশ্য স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। মৃত্যুকালে তাঁর লেখা প্রবল ভাবনা জাগানিয়া আত্মজিজ্ঞাসা :
                     
    হাসান, এত তাড়া কিসের?
     পরম গুরু যুগযুগান্তে ফোটায় মুকুল,
    তার তো তাড়াহুড়ো নেই?
    বললাম হেসে, তাঁর হাতে আছে যুগযুগান্ত,
    আমার যে মোটেই সময় নেই।।   
    [অপ্রকাশিত কবিতা (১৯৮৬)]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রসবে প্রসন্না কবি হাসান হাফিজুর রহমান
আরও পড়ুন