নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভুলে যাওয়া বাংলাদেশি ওপেনার ইমরুল কায়েস ও ভুলতে বসা আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের স্মৃতি উঠে আসলো দৃশ্যপটে। ব্যাটহাতে প্রায় হাজার মাইল দূরে বাইশ গজের বৃত্তে ভারতীয় দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও রোহিত শর্মাই বারবার মনে করিয়ে দিলেন বাংলার দুই টাইগারের কথা। তাদের স্মৃতির ভেলায় চেপে বিশাখাপত্তমে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দুমড়ে-মুচড়ে ৩১৭ রানের জুটি গড়ে আগারওয়াল-রোহিত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বিতীয় দিনেও চলল ভারতের দাপট। গতকাল আগারওয়াল-রোহিতের রেকর্ড এক জুটির পথে শুধু ইমরুল-তামিমই নন, পেছনে পড়ে গেছেন বহু রথী-মহারথীরাও। যে তালিকায় আছেন ট্রেসকোথিক-স্ট্রাউস, গ্রিফিথ-ক্যাম্পবেল, ডেমস্টার-মিলস, সোহেল-ইজাজ, স্মিথ-গিবসসহ আরো অনেক কিংবদন্তীতুল্য তারকারাও। এরই মাঝে টিভি স্ক্রিণে বারবার চোখে পড়ছিলো একটি জুটির নাম। কালো অক্ষরের নামের মাঝে লাল-সবুজের একটা মায়া, একটা স্পর্শ। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম-কায়েসের ৩১২ রানের জুটি স্ক্রিণে দেখে মনটা বিশাখাপতনাম থেকে সোজা বিদ্যুবেগে চলে গেল খুলনা টেস্টের স্মৃতিতে।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের জুনায়েদ খান, জুলফিকার বাবর, ওয়াহাব রিয়াজ, ইয়াসির শাহ ও মোহাম্মদ হাফিজের মতো বিশ^নন্দিত বোলার দু:স্বপ্ন উপহার দিয়েছিলেন তামিম-কায়েস। তামিমের ইনিংস থামে ২০৬ রানে, কায়েসের ১৫০ রানে। এই অতিমানবীয় ইনিংসের সুবাদে সেবার হারতে যাওয়া ম্যাচটি গর্ব নিয়ে ড্র করতে পেরেছিল টাইগাররা।
জাতীয় দলে বারবার ফেরার প্রত্যয় নিয়ে নিয়মিত মাঠে ঘাম ঝড়াচ্ছেন কায়েস। সুযোগ পেলে ভালোকিছু করে দেখানোর কথাও জানিয়েছিলেন গণমাধ্যমে। অন্যদিকে বিশ^কাপের মঞ্চ থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও ফর্মহীনতায় ভোগায় স্বেচ্ছায় ছুটিতে আছেন তামিম। তবে অনুশীলন করে যাচ্ছেন নিয়মিত। ফিটনেস পরীক্ষার বিপ টেস্টে তার স্কোর ছিল ১২.১। তামিমের ক্যারিয়ারেও এটাাই সর্বোচ্চ। গত এক মাসে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রমে ওজন কমিয়েছেন প্রায় ছয় কেজি। সেই সঙ্গে প্যাকটিসে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিংয়ের পরও বেশ স্বাচ্ছন্দ দেখা গেছে এই ওপেনারকে।
আগামী মাসে বাংলাদেশ দল তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে ভারত সফর করবে। সফরে যাওয়ার আগেই মোটামুটি দুটি সুসংবাদ পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় পেস ব্যাটারি জসপ্রিত বুমরাহের অনিশ্চয়তার পর পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াও অনিশ্চিত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে। অবশ্য ভারতীয় সূত্র মতে, এই দুজনের কেউই খেলতে পারবেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে। ভারতীয় পেস শক্তি কমার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামিম-কায়েস জুটি প্রতিবেশী দলটিকে ফেলতে পারে বিপাকে। এরআগে চিরবৈরি পাকিস্তানও খাবি খেয়েছে এই জুটির সামনে। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনেও এই জুটি কার্যকর হবে আশা করছেন অনেক সমর্থক। এই ভারত সফর আর জাতীয় লিগকে সামনে রেখে মিরপুরে তামিম-ইমরুলদের ঘাম ঝড়ানো অনুশীলন, অতীত বীরোচিত রেকর্ড আর সমর্থকদের চাওয়া- সবমিলিয়ে নিঃসন্দেহে নির্বাচকদের ভাবতে সাহায্য করবে দল ঘোষনায়।
জুটি রান দল প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
ম্যাকেঞ্জি-স্মিথ ৪১৫ দ.আফ্রিকা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ২০০৮
মানকাদ-রয় ৪১৩ ভারত নিউজিল্যান্ড চেন্নাই ১৯৫৬
শেবাগ-দ্রাবিড় ৪১০ ভারত পাকিস্তান লাহোর ২০০৬
টার্নার-জার্ভিস ৩৮৭ নিউজিল্যান্ড উইন্ডিজ জর্জটাউন ১৯৭২
লউরি-সিম্পসন ৩৮২ অস্ট্রেলিয়া উইন্ডিজ ব্রিজটাউন ১৯৬৫
স্মিথ-গিবস ৩৬৮ দ.আফ্রিকা পাকিস্তান কেপ টাউন ২০০৩
হুটন-ওয়াশব্রুক ৩৫৯ ইংল্যান্ড দ.আফ্রিকা জোহানেসবার্গ ১৯৪৮
স্মিথ-হিবস ৩৩৮ দ.আফ্রিকা ইংল্যান্ড বার্মিংহাম ২০০৩
আতাপাতু-জয়সুরিয়া ৩৩৫ শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ক্যান্ডি ২০০০
মার্শ-টেইলর ৩২৯ অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ড নটিংহ্যাম ১৯৮৯
হবস-রোডস ৩২৩ ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯১২
আগারওয়াল-রোহিত ৩১৭ ভারত দ.আফ্রিকা বিশাখাপত্তম ২০১৯
তামিম-ইমরুল ৩১২ বাংলাদেশ পাকিস্তান খুলনা ২০১৫
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।