নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের টেবিল টেনিস (টিটি) ক্যাম্পে ঘটছে একের পর এক তুঘলুকি কাণ্ড। দেশসেরা দুই টিটি খেলোয়াড় মানস চৌধুরী ও সালেহা পারভীন সেতু’কে আসন্ন এসএ গেমসের ক্যাম্প থেকে বাদ দেয়ার পর ছিটকে পড়লেন নারী টিটি’র এক নম্বর র্যাঙ্কিংধারী খেলোয়াড় মৌমিতা আলম রুমী। যিনি সর্বশেষ ২০১৬ এসএ গেমসের ব্রোঞ্জপদক জয়ী এবং চারবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। রুমীর অভিযোগ মঙ্গলবার নারী দল সিলেকশনের দিন ধার্য থাকলেও আগের রাতে তাকে জানানো হয় তিনি জাতীয় দলে নেই। এক বেলা অনুশীলন করার অপরাধে রুমীকে বাদ দিয়েছে ফেডারেশন। অথচ ওইদিনই রুমীর কাছ থেকে ফেডারেশন লিখিত নিয়েছে যে, তিনি দুই বেলা অনুশীলন করবেন। মঙ্গলবার সকালে নারী দলের বাছাই শেষে বিকেল ৩টায় পল্টন ময়দান সংলগ্ন শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামস্থ টিটি ক্যাম্পে ঘটলো অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা। সামান্য কথা কাটা-কাটিকে কেন্দ্র করে এদিন মারামরিতে লিপ্ত হন মৌমিতা আলম রুমী ও জাতীয় দলের আরেক তারকা সোনম সুলতানা সোমা। রুমীর অভিযোগ, সোমা তাকে চড় মেরেছেন। তিনি বলেন,‘ সামান্য কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে সোমা হঠাৎ আমাকে আক্রমণ করে। সে আমার গালে চড় মারলে আমি হতবাক হয়ে যাই।’ রুমি যোগ করেন,‘সোমার আক্রমণ থেকে বাঁচতে গিয়ে আমি ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ি। আমাদের চিৎকার শুনে পাশের পুরুষ ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়রা এসে দু’জনকে আলাদা করে দেন।’ এদিকে সোমা জানান, রুমীও তাকে মেরেছেন। মারামারির এক পর্যায়ে নাকি রুমী তার গায়ের কাপড় ছিড়ে ফেলেছেন। এই ঘটনার জের ধরে বুধবার বাছাই কার্যক্রমে অংশ নেননি জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ৮ পুরুষ খেলোয়াড়। তাদের দাবী রুমীকে চড় মারার অপরাধে জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে সোমা’কে। তাহলেই তারা খেলায় ফিরবেন। ঘটনাটি টিটি ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে। রুমী অপেক্ষায় আছেন ফেডারেশন কি বিচার করে তা দেখার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।