মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, দুনিয়ায় এমন কোনও শক্তি নেই যা এই মহান জাতিকে ঝাঁকুনি দিতে পারে। এ দেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে চীনা জাতি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। সুতরাং এ জাতির অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। ১ অক্টোবর কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কয়ারে সামরিক প্যারেডে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শি জিনপিং বলেন, আজ একটি সমাজতান্ত্রিক চীন দুনিয়ার পূর্ব দিকে দাঁড়িয়ে আছে। এই মহান জাতির ভিত্তি কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো কোনও শক্তি দুনিয়ায় নেই। তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন নৃতাত্তি¡ক গোষ্ঠী এবং এ ভূখন্ডের দেশপ্রেমিক মানুষ পুরো দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। চীনের উন্নয়নে সমর্থন জোগানো সব বন্ধু জাতিরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভাষণে ‘শান্তিপূর্ণ’ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেন শি জিনপিং। হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ানের নাম না নিয়েই অঞ্চলগুলোর গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, পুনরায় একত্রীকরণের জন্য বেইজিং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হংকংয়ের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, চীন সরকার সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটির স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে। শি জিনপিং বলেন, আমাদের অবশ্যই শান্তিপ‚র্ণ পুনর্মিলন এবং ‘এক দেশ দুই নীতি’র বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। হংকং এবং ম্যাকাও-তে আমরা দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখবো। আমরা পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করবো। দেশের সম্পূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তিতে বেইজিংয়ে চীনা ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এ সামরিক কুচকাওয়াজ এবং সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ছাড়াও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রায় ১০০টি দেশের সামরিক অ্যাটাশেদের। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বেইজিং ‘পেশিশক্তি’ প্রদর্শন করছে না। এর প্রয়োজনীয়তাও দেখছে না তারা। বরং এর মাধ্যমে ‘শান্তিকামী ও দায়বদ্ধ চীনকে’ উপস্থাপন করছে বেইজিং। বিবিসি জানিয়েছে, চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র, স্টিলথ ও মনুষ্যবিহীন যন্ত্রের সক্ষমতার এ প্রদর্শনী নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) খুবই আগ্রহী। এতে সড়কে সহজে পরিবহনযোগ্য ডিএফ-৪১ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের অত্যাধুনিক ভার্সনটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চীনা সমর বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, এ মারণাস্ত্রটি বিশ্বের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে এবং একই সময়ে ১০টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এশিয়া প্যাসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক শাংরি-লা ডায়লগের জ্যেষ্ঠ ফেলো আলেক্সান্ডার নেইল বলেন, ‘কুচকাওয়াজে অত্যাধুনিক অনেক মারণাস্ত্র প্রদর্শন করতে পারলেও চীন এখনও সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় কয়েক দশক পিছিয়ে আছে।’ বিবিসি, সিনহুয়া, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।