মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বানচালে তালিবানরা যে আঘাত হানবে, তা জানাই ছিল। যে কারণে সর্বত্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু, নিরাপত্তার সেই বজ্র আঁটুনি ভেদ করেই, বিগত কয়েক দিনের মতো শনিবারও নাশকতা চালাল তালিবানরা। সেনাবাহীনি সতর্ক থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রক্তপাত, প্রাণহানি ঠেকানো গেল না।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শনিবার আফগানিস্তানে তালিবান হামলায় ৫ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা নিয়ে সংবাদ সংস্থাগুলি এক একরকম দাবি করেছে। তবে, আহত ৪০-এর কম নয়। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে শনিবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাহত করার লক্ষ্যে জঙ্গিরা দেশজুড়ে একাধিক হামলা চালিয়েছে। পরপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময়, এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এদিন ৬৮টি হামলা চালিয়েছে তালিবানরা। এর আগে নির্বাচনী প্রচারের সময়েও একাধিক হামলায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আক্ষরকি অর্থেই রক্তক্ষয়ী নির্বাচন। সংবাদ সংস্থাগুলির ধারণা, প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে দেশের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
নির্বাচনের দিন যে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে হামলা চালানো হবে, সেই হুমকি আগেই দিয়েছিল তালিবানরা। কিন্তু, তার পরেও কেন এদিন রক্তক্ষয় ঠেকানো গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন ঘিরে এদিন রাজধানী কাবুল আংশিক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল রাজধানীতে। শহরে কোনও ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই ভোটারদের টার্গেট করে, রাজধানী শহরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে বিগত দু-মাসে একাধিক হামলা চালিয়েছে তালিবানরা। এই জঙ্গি সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, এই ‘ভুয়া নির্বাচন’ বানচালে বিগত দু-মাসে ছোট-বড় কয়েক’শো হামলা তারা চালিয়েছে।
আফগানিস্তানের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহারে বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ভোটগ্রহণ শুরুর প্রায় দু-ঘণ্টা পর একটি ভোটকেন্দ্রে এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আফগানিস্তানের আরও অনেক ভোটকেন্দ্রেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে খবর এসেছে। কাবুলের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেওয়ার পর ঘানি জানান, ‘শান্তি হচ্ছে আমাদের দেশের জনগণের প্রথম চাওয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘শান্তির জন্য আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত। আশারাখি, জনগণ আমাদের সুযোগ দেবে। যাতে আমরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় আফগানিস্তানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দেশব্যাপী প্রায় পাঁচ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রায় ৯৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোটকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৭২ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, আফগানিস্তানে শনিবারের নির্বাচনে প্রায় ১৭০ জনের মতো হতাহত হয়েছেন। রাজধানী কাবুলের একটি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন বলে একটি সূত্রে দাবি করা হয়। যদিও কাবুলে হামলার কথা কোনোপক্ষই স্বীকার করেনি। তালিবানরা বেশ কিছুদিন ধরেই এই নির্বাচনকে ‘ভুয়া’ দাবি করে, তা প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল।
ভোটে হামলা হয়েছে কুন্দুজ প্রদেশেও। সেখানকার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, হামলার ঘটনায় অন্তত তিন জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়েছেন। কুন্দুজের অদূরের এক শহরেও হামলা চালিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। ওই হামলায় নির্বাচন কমিশনের এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার প্রধান নির্বাচনী কর্তা মোহাম্মদ রাসুল।
সংবাদ সংস্থা এএফপির দাবি, নির্বাচন ঘিরে নানগরহর প্রদেশে আটটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩৭১ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।