পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা হরণ করার পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। চীন-রাশিয়াসহ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের অভিমত, ওআইসি ও অন্যান্য দেশের মতামতও আমরা কমবেশি অবহিত হয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের থিংকট্যাংকের মুখপাত্র ও নীতিনির্দেশক পত্রপত্রিকাগুলোতে লাগাতার লেখালেখি হচ্ছে। কোনো লেখাই ভারতের পক্ষে যাচ্ছে না। আমেরিকান ফরেন পলিসি সাময়িকীতে বলা হয়েছে : দু’টি ঘটনা সম্ভবত, ভারতকে পদক্ষেপটি নিতে প্ররোচিত করে থাকতে পারে। প্রথমটি হলো, মার্কিন প্রেসিডেন্টে ট্রাম্পের কাশ্মীর বিরোধে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব। দ্বিতীয়টি হলো, দ্রæত অগ্রগতিশীল আফগান শান্তি প্রক্রিয়া। আফগান শান্তি প্রক্রিয়া পাকিস্তানের সহযোগিতায় ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে, যার পরিণামে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়ে যেতে পারে। আর এটি তালেবানকে সরকারে একটি বিশেষ ভূমিকায় নিয়ে আসবে, যার প্রতিটি উন্নয়ন পাকিস্তানের হাতকেই শক্তিশালী করবে। এহেন বাস্তবতায় কাশ্মীর নিয়ে নাটকীয় পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এ ব্যাপারে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রাখতে সক্ষম হবে বলে ভারতের নীতিনির্ধারকরা ধারণা করছেন। এর মাধ্যমে বাইরের মধ্যস্থতায় ব্যাপারে ভারতের অনীহার বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যও থাকতে পারে ওই নীতিনির্ধারকদের। ফরেন পলিসি সাময়িকীর মতে, মোদির ঘরোয়া রাজনীতিও এ পদক্ষেপের পেছনে কাজ করে থাকতে পারে। এটা বিজেপির জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন আগের তুলনায় বাড়াতে পারে এবং অর্থনৈতিক নাজুক পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকা দিতে সহায়ক হতে পারে।
পাকিস্তানের খ্যাতিমান সংবাদিক হামিদ মীর তার এক লেখায় আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে এই পদক্ষেপের সম্পর্ক আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, মোদি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা প্ররোচিত বা প্রভাবিত হয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার তরফে বলা হয়, কাতারে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান তালেবাননের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়ে গেছে। আর এ চুক্তির ঘোষণা হওয়া মাত্রই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাশ্মীর সঙ্কটের দিকে নিবদ্ধ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।