মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গা বানিয়ে রমরমা জুয়া খেলার আসরই হচ্ছে ক্যাসিনো। ‘ক্যাসিনো’ শব্দটি ইতালীয় এবং ১৬৩৮ সালের দিকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গা বানিয়ে জুয়া খেলা শুরু হয়। ১৯৩১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় এটি আইনি বৈধতা পায়। মূলত তারাই ‘ক্যাসিনো’ জনপ্রিয় করে।
বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ব্যবসা চলে ক্যাসিনো নির্ভর গ্যাম্বলিং বা জুয়াকে ঘিরে। চীনের মূল ভূখণ্ড এবং মুসলিম কিছু দেশ ছাড়া পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির প্রায় সব দেশেই ক্যাসিনোর রমরমা আয়োজন রয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রীয় অনুমোদন না থাকা সত্তে¡ও বাংলাদেশেও বেশ কয়েকটি ক্যাসিনোর সন্ধান পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চোখ মেলে দেখা যাক বিশ্বের কোথায় কোথায় এ রমরমা জুয়া আসর ক্যাসিনো চলে।
সবার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র :
ক্যাসিনোর কথা ওঠলেই প্রথমে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নাম, নেভাদায় যার অবস্থান। ৩৬০টি ক্যাসিনোর অস্তিত্ব শুধু এই এক অঙ্গরাজ্যেই রয়েছে। ইউটাহ, হাওয়াই আর আলাস্কা ছাড়া ক্যাসিনো রয়েছে দেশটির বাকি সব রাজ্যেই। সব মিলিয়ে ১৯৫৪টি ক্যাসিনো চালু আছে যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে চলে ৯ লাখের ওপর ¯øট মেশিন। ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আর বছরে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের জোগান দেয় দেশটির ক্যাসিনো।
জুয়া ভালোবাসে কানাডার মানুষ :
সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাসিনো আছে কানাডায়। জনগণকে ক্যাসিনোর মালিকানা আর পরিচালনার প্রথম অনুমতি দেয় উদারমনা এ দেশটি। বর্তমানে সেখানে মোট ক্যাসিনোর সংখ্যা ২১৯টি। সবচেয়ে বেশি ৭৩টি আছে অ্যান্টারিওতে। এরপর তালিকায় আছে আলবার্টা আর ব্রিটিশ কলম্বিয়া। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশটির ৭৬ ভাগ মানুষই কোনো না কোনো জুয়ার সাথে জড়িত। এর মাধ্যমে বছরে সাড়ে ১৫ বিলয়ন ডলার লেনদেন হয়।
মেক্সিকোতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ক্যাসিনো :
উত্তর আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকোতে দেশটিতে ২০৬টি ক্যসিনো রয়েছে। তবে গেম পরিচালনায় এর কোনোটিতেই নিজস্ব কোনো প্রোগ্রাম নেই, পুরোটাই কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। কোডারে, বিগ বোলা আর ইমোশন -এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের দখলে মেক্সিকোর ক্যাসিনো শিল্পের বড় অংশ। ফ্রান্স :
উত্তর অ্যামেরিকার দেশগুলোকে বাদ দিলে সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্যাসিনো রয়েছে ফ্রান্সে। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ক্যাসিনোগুলোর দেখা মিলবে এ দেশটিতেই। অ্যামেরিকার মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঐতিহাসিক দিক থেকে এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ১৯১২ সালে চালু হওয়া ক্যাসিনো ব্যারিয়ো দাভিলা। সব মিলিয়ে ১৮১টি ক্যাসিনো চালু আছে ফ্রান্সে। এর পরের অবস্থানটি নেদারল্যান্ডসের, যেখানে ১৬৬টি ক্যাসিনো রয়েছে।
ব্রিটিশরা কথায় কথায় বাজি ধরেন :
রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে রাজপথ, বাজি যদি জুয়ার মধ্যে পড়ে তাহলে ব্রিটিশদের চেয়ে এগিয়ে আর কেউ নেই। শুধু লন্ডনেই হাজারের ওপর বেটিং শপ আছে। ২০ লাখের বেশি ব্রিটিশ অনলাইনে জুয়া খেলে। এর বাইরে মেফেয়ার আর পিকাডিলির মতো খ্যাতনামা ক্যাসিনো তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ১৫৮।
ম্যাকাও মানেই ক্যাসিনো :
সংখ্যায় বেশি না হলে নামিদামি ক্যাসিনোর দিক থেকে লাস ভেগাসের পরেই রয়েছে চীনের স্বায়ত্ত¡শাসিত অঙ্গরাজ্য ম্যাকাওয়ের নাম। বলতে গেলে সেখানকার অর্থনীতি এ শিল্প নির্ভর। যুক্তরাষ্ট্রের উইনস্টারের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো ভেনিটিয়ানের অবস্থানও এখানে। সিটি অব ড্রিমস, পন্টে সিক্সটিন, স্যান্ডস, এমজিএম গ্র্যান্ডও আছে দশের ভেতরে। মাত্র অর্ধশত ক্যাসিনোই ম্যাকাওয়ের সরকারের ৮০ ভাগ রাজস্বের যোগান দেয়।
তালিকায় কিছু মুসলিম অধ্যুষিত দেশও রয়েছে :
বিশ্বের অনেক মুসলমান প্রধান দেশেও এখন বৈধ ক্যাসিনো আছে। সবচেয়ে বেশি ১৭টি আছে মিশরে, যার ১৪টি শুধু রাজধানী কায়রোতেই। ৯টি আছে তুরস্কে। আফ্রিকার মরক্কোতে আছে ৭টি। এছাড়াও মধ্যাপ্রাচ্যের আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, আরব আমিরাত আর এশিয়ার মালয়েশিয়াতেও ক্যাসিনোর অনুমোদন রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ :
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১টি ক্যাসিনো আছে ভারতে। গোয়ার পানাজি, গ্যাংটক, মুম্বাইসহ মোট ১১টি শহরে সেগুলোর অবস্থান। ৫টি ক্যাসিনো আছে শ্রীলঙ্কায়, যার সবগুলোই রাজধানী কলম্বোয়। এছাড়া ১১টি ক্যাসিনো রয়েছে নেপালে, আর ৫টি রয়েছে মিয়ানমারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।