Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জামিন শুনানিতে উদ্বেগ প্রধান বিচারপতির

অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে অর্থপাচার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে অর্থপাচারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এখন ভয় হলো এরা দেশকে অর্থশূন্য করে ফেলে কি না!
অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িত চক্রের সদস্য শাকিল খানের জামিন আবেদনের শুনানির সময় এ উদ্বেগের কথা জানান প্রধান বিচারপতি। পরে শাকিল খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন। গত রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। শাকিল খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও গোলাম আব্বাস চৌধুরী।
শুনানিতে সরকারপক্ষীয় আইনজীবী বলেন, এ আসামি অনলাইন ক্যাসিনোর মাধ্যমে দেশের অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। সে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে। তার জামিন স্থগিতের আবেদন জানাচ্ছি। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ আসামি অ্যাপস তৈরি করে। সে ফ্রি-ল্যান্সার। অ্যাপস তৈরি করে বিক্রি করে। আইনে এর অনুমোদন রয়েছে। তিনি ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত নন।
আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, ভালো কথা, আইনে অনুমোদন আছে। কিন্তু আপনি এ রকম বাজে অ্যাপস, খারাপ অ্যাপস বানাবেন কেন? ভালো অ্যাপস বানাতে পারেন না। জবাবে আইনজীবী বলেন, গ্রাহকরা যেভাবে চাহিদা দেয় সেভাবেই তৈরি করা হয়। আইনে তো এটা বানানোর ক্ষেত্রে বাধা নেই। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা তো মারাত্মক অভিযোগ। এভাবে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে! জবাবে আইনজীবী বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর। এই আসামি এক বছরের বেশি কারাগারে। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, এ মামলায় সাজা বাড়ানো উচিত। এরপর আদালত জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন। গত বছর ২৭ জুলাই রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনায় জড়িত চক্রের সদস্য শাকিল খান (২২) ও যুবাইদ হাসান রচি (৩২)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন, ২১টি সিমকার্ড ও ৯৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা প্রতারণামূলক অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়াব্যবসা পরিচালনা করে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা ফেসবুক পেজ ও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের বিকাশ ও নগদ এজেন্ট নম্বর দিয়ে ওই সব নম্বরের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেন। চক্রটি বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ১৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই টাকা ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে ক্যাসিনো প্ল্যাটফর্মের মূল হোতা আরতাম ও শাখাওয়াত হোসেন শাওনের কাছে পাচার করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্যাসিনোর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ