মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে পররাষ্ট্রনীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনল বিরোধী দল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রের হাউস্টনের সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে মোদি নির্বাচনী প্রচারণা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে অন্য দেশের একটি নির্দিষ্ট দলের পক্ষে সরাসরি ভোট চেয়ে মোদি পররাষ্ট্রনীতি লঙ্ঘন করেছেন বলে মনে করে কংগ্রেস। খবর জি নিউজ।
রোববার টেক্সাস রাজ্যের হিউজটনে বিশাল এক জনসমাবেশে ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদি। এ সময় তিনি বলেন ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার।’ যার অর্থ আরো একবার (দরকার) ট্রাম্প সরকার। মোদির এমন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা আনন্দ শর্মা। তিনি টুইটারে বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে সম্মানের যে স্থানটি ছিল তা লঙ্ঘন করেছেন মোদি। তিনি অন্য দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে এমনটা করেছেন।
ধারাবাহিক টুইটে আনন্দ শর্মা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার ভারতীয় যে পররাষ্ট্রনীতি আছে তা লঙ্ঘন করেছেন। এটা ভারতের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত স্বার্থের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবন্ধকতা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ট্রাম্পকে অনুমোদনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যেমন তেমনি ভারতের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করেছেন মোদি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয়, একই সঙ্গে তা যেমন রিপাবলিকানদের সঙ্গে, ডেমোক্রেটদের সঙ্গেও একই সম্পর্ক। মোদিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দুটি সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক দেশ। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের পক্ষে আপনি সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে দুই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে লঙ্ঘন করেছেন। আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সেখানকার নির্বাচনে তারকা প্রচারণাকারী হিসেবে আপনি যান নি।
উল্লেখ্য, টেক্সাসের হিউজটনে আয়োজিত ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মোদি। তিনি বলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। এ সময়েই মোদি বলেন, ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনিও সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।