গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশে যে খবরটি সবচেয়ে বেশি আলোচনা সৃষ্টি করেছে তা হলো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে চালিত ক্যাসিনো ও স্পোর্টস ক্লাবে পুলিশের অভিযান এবং তার জের হিসেবে কয়েকজন আওয়ামী যুবলীগ নেতার গ্রেফতার। এ নিয়ে বর্তমানে সরগরম রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক। দীর্ঘদিন ধরে ধরা-ছোয়ার বাইরে থাকা রাঘব-বোয়ালদের গ্রেফতার অভিযানের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।
এসব অভিযানের প্রশংসা করে নাছিমা আক্তার লিখেছেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষ সরকার প্রধানকে সাধুবাদ জানাই- এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন পরবর্তীতে কেউ করার সাহস না পায়। পাপেরও একটা সীমা আছে। পাপ যখন সীমালঙ্ঘন করে তখনই পাপ চতুরদিক থেকে ঘেরাও করে। দূর্নীতির মূল উৎপাটন হলে দেশ অনেক বেশী এগিয়ে যাবে। আমরা চাই সারা বছরব্যাপি প্রশাসন ভেজাল এবং দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকুক।’’
আলাউদ্দীন শিকদার লিখেছেন, ‘‘আইনশৃংখলা বাহিনীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।অভিযান অব্যাহত থাকুক সব সময়।’’
‘‘শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই অভিযান কন্টিনিউ রাখেন। তাহলে যারা আমরা আওয়ামী লীগ করি তারা অনেক গর্বিত বোধ করবো আওয়ামী লীগ করে’’ লিখেছেন শামসুদ্দিন।
তবে অনাস্থা প্রকাশ করে গাজী আনওয়ার লিখেছেন, ‘‘কিছু হবে না। এগুলো গুগলি। জনগণ দেখতে থাকবে আর তালি বাজাবে। তারপর সব ভুলে যাবে। সহ্য হয়ে গেছে সব। তাই খাঁটি খাবারে তৃপ্তি পাই না। ভেজাল খাবার লাইনে দাঁড়িয়ে কিনি।’’
ইকবাল হাসান লিখেছেন, ‘‘আসলে অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়। দীর্ঘ সময় দল ক্ষমতায় তাই অনেক আগাছা জন্মেছে, তাই একটু সাফ হচ্ছে।’’
‘‘সাব্বাস শেখ হাসিনা। এই ভাবে চালিয়ে যান তাহলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সরকারি যে আমলারা আছে তাদের উপরেও অভিযান দিন’’ একে আজাদ পাটোয়ারী।
মো. সাব্বির হোসেন লিখেছেন, ‘‘জঙ্গী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য যে রকম অভিযান চালিয়েছেন সে রকম অভিযান দেখতে চাই।আপনি দেশ থেকে জঙ্গী নির্মুল করছেন সেভাবে দুর্নীতিকে নির্মুল করেন।’’
সাদেক হোসাইন দাবি জানিয়েছেন, ‘‘অপ্রতিরোধ্য ক্যাসিনো গডফাদারদের বিরুদ্ধে সারা দেশে এক সাথে অভিযান চালানো উচিৎ বলে মনে করছেন অনেকেই৷ খন্ড অভিযান দেখে অনেকেই গাঁ ঢাকা দিচ্ছে৷’’
‘‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে সবই হয়। এখন উনার সদিচ্ছা হইছে তাই আমরা এই শয়তানগুলোর গ্রেফতার ও কুকীর্তি দেখছি। আশা করি উনার সদিচ্ছা অব্যাহত থাকবে এবং এরকম হাজার হাজার শয়তানের মুখোশ উন্মোচন অব্যাহত থাকবে।’’
জাভেদ মাহফুজ লিখেছেন, ‘‘সারাদেশে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকা দরকার। গাঁও-গেরামে নীরব চাঁদাবাজি দুর্নীতি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান প্রয়োজন। তখন দেশ অবশ্যই উন্নত হবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।