নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চমক জাগানিয়া অভিষেকটা রাঙিয়েছিলেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে। সেই ম্যাচেই এক ফিরতি বল ধরতে গিয়ে বাঁ হাতে পেয়েছিলেন চোট। তাতে পড়েছে তিনটা সেলাই। হাত এখনো ব্যান্ডেজে মোড়া। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব সেই হাত নিয়েই গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের অনুশীলনে করে গেলেন বোলিং। তাঁর প্রত্যয়ী চেহারাটা দেখে কে বলবে, দুর্দান্ত অভিষেকের পরই বড় এক দুঃসংবাদ পেয়েছেন!
আমিনুল যে ফিট নন, না বললেও চলছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার একটা শট ঠেকাতে হাতে পেয়েছেন গুরুতর চোট। আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফাইনাল খেলা নিয়েও আছে ঘোর সংশয়। তবুও আমিনুলের আশা ছাড়ছে না বাংলাদেশ। অভিষেকেই দারুণ বোলিং করা একজন লেগ স্পিনারের আশা কি এত সহজে ছাড়ে কোনো দল! হাতের চোটটা এতটাই গুরুতর, ফাইনালের আগে পাওয়া চার দিনের বিরতিতে তিনি কতটা সেরে ওঠেন, সেটাই প্রশ্ন।
আমিনুলের হাতের সেলাই কাটতে লেগে যেতে পারে এক সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময়। তবে পরশু বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলছিলেন, ‘হাতের সেলাই নিয়েও খেলতে পারেন একজন খেলোয়াড়। কিন্তু চোটের অবস্থা আগে বুঝতে হবে।’ চোটের অবস্থা বুঝতে যে সময়টা লাগে, সেটিই নেই বাংলাদেশের। তবে ব্যথা খানিকটা কমেছে বলেই গতকাল ব্যান্ডেজ জড়ানো হাত নিয়ে বোলিং করেছেন আমিনুল। ফলো থ্রুতে তিনি বল ধরছেন শুধুই ডান হাতে (যে হাতে বোলিং করেন)। যখন বাঁ দিকে বল আসছে, সেটি ধরতে বেশ কষ্টই হচ্ছে আমিনুলের। বল ধরতে হচ্ছে সেলাই পড়া হাতটা বাঁচিয়ে। কাজটা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার চাইলে বিশ্রামে থাকতে পারতেন। থাকেননি।
আমিনুল একটা চেষ্টা চালাচ্ছেন যদি এ কদিনে ব্যথা কমে যায়, ফাইনালে একটা ঝুঁকি নিতে হবে। আর ফাইনাল খেলতে হলে ভালো প্রস্তুতি নিশ্চয়ই নিয়ে রাখতে হয়। হুট করেই তো আর ফাইনাল খেলা যায় না। আমিনুল সেটাই করছেন।
তবুও সংশয় দূর হচ্ছে না। ব্যথা কমল, সেলাই নিয়েই খেলতে নামলেন। ফিল্ডিং না হয় করলেন না। কিন্তু দেখা গেল ব্যাটসম্যান রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছেন বা জোরে শট খেলেছেন তাঁর চোট পাওয়া হাতের দিকেই, তখন আমিনুল কী করবেন? সেটি কি আর না ধরে থাকতে পারবেন? যদি আবারও চোট পান বাঁ হাতে?
তবে কেন বোলিং করছেন আমিনুল? স্পিন কোচ সোহেল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করতেই জানালেন, ‘ব্যথা পেয়েছে বাঁ হাতে। ডান হাতে বোলিং করতে সমস্যা নেই। তাই নিজেকে ঝালিয়ে রাখার জন্যই অনুশীলন।’ তবে কি তার খেলার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে? এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে উল্টো প্রশ্ন করেন সোহেল, ‘সেলাই কাটতেই তো সাত দিন লাগে। খেলবে কীভাবে? বোলিং না হয় ডান হাতে করল, কিন্তু ফিল্ডিং তো করতে হবে। আবার যদি তার দিকে বল আসে। আর তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়ারও কোনো কারণ নেই।’
ঝুঁকি, সংশয়- যা-ই থাকুক আমিনুল আপাতত মানসিকভাবে শক্ত থাকছেন, ফিজিও-চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। যদি শেষ পর্যন্ত তাঁর নাও খেলা হয়, আমিনুলের এই চেষ্টাকেই প্রশংসা করতে হবে। চোট অন্তত তাঁর মনোবল কেড়ে নিতে পারেনি। অন্যদিকে, এদিন শুরু থেকেই অনুশীলন করেছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নেটে বল করেছেন, করেছেন ফ্রি বোলিংও। তাতে আপাত দৃষ্টিতে এটা ধারণা করা গেছে যে, আমিনুলের পরিবর্তে আফগানদের বিপক্ষে এই বাঁহাতি স্পিনারকেই বাংলাদেশের একাদশে দেখা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।