পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরানের যে স্থান থেকে সউদী আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে ওই স্থানগুলো শনাক্ত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কানাডার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, ওই স্থানগুলো উপসাগরের উত্তর প্রান্তে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। শনিবার সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সউদী আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে দাবি করে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিরা দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে দাবি করে আসছে। যদিও ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেই স্থানগুলো চিহ্নিত করার দাবি করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সউদী আরবের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণমুখী করে মোতায়েন করায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিরোধ করতে পারেনি। কারণ তারা ইয়েমেন থেকে হুতি বিদ্রোহীদের ছুঁড়া ড্রোন প্রতিরোধ করতে ওইভাবে মোতায়েন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামলার ব্যাপ্তি ও গতিপথের কারণে হুতি বিদ্রোহীদের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে।’ একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হামলা ও লক্ষ্যবস্তুর ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে, যা ইয়েমেনের হুতিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়, সউদী তেল স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক। কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই হামলাটি উত্তর উপসাগর, ইরান বা ইরাকের কোনও ঘাঁটি থেকে চালানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও ইরাক তাদের ভূখন্ড থেকে সউদী আরবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। শনিবারের ওই ড্রোন হামলার কারণে বৈশ্বিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। ওই হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে তেহরান। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, ‘আমরাই ড্রোন হামলা চালিয়েছি, যা আঘাত হানে সউদী মালিকানাধীন আবকাইক ও কুরাইস তেল স্থাপনায়।’ সিবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।