Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৯/১১ বার্ষিকীতেই কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৫ এএম

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে রকেট হামলা হয়েছে। আমেরিকায় ৯/১১ হামলার সেই বার্ষিকীতেই মার্কিন দূতাবাসকে টার্গেট করা হয়। মধ্য রাতের পরপরই বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপরপরই পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। প্রাণহানির খবরও মেলেনি।

সূত্রের খবর, বুধবার ভোররাতে কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের সামনে জোরালো বিস্ফোরণে শব্দ শোনা যায়। দূতাবাস চত্বর ঢেকে যায় ধোঁয়ায়। মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মী ফোনে বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে, তিনিও বিশদ কিছু জানাতে পারেননি। সরকারিভাবেও এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর জানানো হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দেয়ার পর, কাবুলে এটাই প্রথম বড় হামলা। যদিও, লাগাতার ছোটখাটো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছে তালিবান সদস্যরা। যার জেরে তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহেই দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে কাবুলে বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। হামলায় নিহত হন ন্যাটোর দুই মার্কিন সৈন্যও। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র-তালিবান আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধীরে ধীরে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবেন। কিন্তু, গত সপ্তাহে তালিবান হামলার পরেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় হামলায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয় টুইন টাওয়ার। এই হামলায় ২,৯৯৭ জন নিহত হন। ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন। ধ্বংস হয় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের টুইন টাওয়ার, যা নিয়ে আমেরিকার গর্ব ছিল। এ ঘটনার জন্য বরাবরই আল-কায়দাকে দোষারোপ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যার মাস্টারমাইন্ড ওসামা-বিন-লাদেন। এই দিনটি যে কারণে আমেরিকার নাগরিকদের কাছে অন্তত সংবেদনশীল।

তার পর থেকে বিগত আঠারো বছর ধরে আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন হানায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা কমিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে সেখানে ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এই ১৪ হাজার মার্কিন সেনাও সরিয়ে নেয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার অংশ হিসেবেই তালিবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ