তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনা বাতিল করার পর ভয়ঙ্কর অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নতুন এই অস্ত্রকে অনেকে 'কালো ভ্রমর' নামেও অভিহিত করছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর এই ‘বø্যাক হর্নেট পার্সোনাল রেকনায়শান্স সিস্টেম’ হচ্ছে একটি নজরদারি ড্রোন। সহজেই বিদ্রোহীদের গোপন ঘাঁটির সন্ধান দেবে এই মিনি ড্রোন। আফগানিস্তানে এই অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। তবে এবার আলোচনা ভেঙে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন করে এসেছে বিষয়টি।
আফগানিস্তানে এই ড্রোনগুলো পরীক্ষা করে দেখবে ৮২তম এয়ারবর্ন ডিভিশনের ৫০৮তম প্যারাশুট ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়ন।
‘স্টার্স অ্যান্ড স্ট্রাইপস’-এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে, সেই দিন বেশি দূরে নেই, যেদিন সব সেনার সঙ্গেই এই মিনি ড্রোন থাকবে। এই ড্রোনগুলো তৈরি করেছে ওরেগন-ভিত্তিক এফএলআইআর সিস্টেমস। ছয় ইঞ্চি লম্বা এই ড্রোনের ওজন মাত্র ৩৩ গ্রাম। প্রতিটি ড্রোনের দুটি ক্যামেরা এবং থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা রয়েছে। এই ড্রোনগুলি অপারেটরের কাছ থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত জায়গা পরীক্ষা করতে পারে এবং এক নাগারে ২৫ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এই সময়টাতে ড্রোনগুলি অপারেটরের কাছে ছবি পাঠাতে পারে। এই ড্রোনগুলি লুকিয়ে থাকা শত্রু ও বিস্ফোরক চিহ্নিত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সার্জেন্ট রায়ান সুবার্স নামে এক সেনাসদস্য বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করবে, কারণ এটা আমাদেরকে বিপদ থেকে সতর্ক করবে এবং আমাদের নিজেদের মিশন কার্যকর করতে সাহায্য করবে।’
২০১৬ সাল থেকে আমেরিকা তাদের বিশেষ বাহিনীতে বø্যাক হর্নেটের পরীক্ষা শুরু করেছে । এবং ফরাসি ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীও এফএলআইআর-এর কাছ থেকে এই ড্রোন কিনেছে।
সদ্য তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার শান্তি আলোচনা ভেঙে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার কাবুলে হামলা চালায় তালিবান৷ আত্মঘাতী সেই হামলায় মৃত্যু হয় মোট ১১ জনের। যাদের মধ্যে একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তাও ছিলেন৷ বলা হচ্ছে, এই হামলার ঘটনার পরেই বেঁকে বসেন
ডোনাল্ড ট্রাম্প।