যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ভুট্টা একটি অধিক ফলনশীল দানা শস্য। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান অনেক বেশি। ভুট্টা কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং কোষ্টকাঠিন্য কমায়। সেই সঙ্গে আপনার স্ক্রিনও সুন্দর করে। তাই ভুট্টা খেতে পছন্দ না করলেও শপিং মল হোক বা রাস্তার ধারে গাছতলায়, যেখানেই ভুট্টা পাবেন কিনে খেয়ে ফেলুন। এদিকে ভুট্টায় থাকা ফাইবার, ফেরুলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনসহ নানা উপাদান আমাদের পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে
যতো ফাস্টফুড-নির্ভর জীবন হচ্ছে, ততোই ঘরে ঘরে ক্যানসারের আক্রমণের হার বাড়ছে। অথচ হাতের কাছে ভুট্টা থাকলেও আমরা পাশ কাটিয়ে বার্গার-পিৎজার দোকানে চলে যাচ্ছি। ভুট্টায় থাকা ফেরুলিক অ্যাসিডের মতো যৌগ আমার আপনার ব্রেস্ট এবং লিভারে থাকা টিউমারের সাইজ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড থাকে ভুট্টায়। যা ক্যানসারের কোষগুলোকে বাড়তে দেয় না।
গর্ভবতীদের কাজে আসে
মায়ের পেটের ভিতরে যখন সন্তান বাড়তে থাকে, তখন তার যথেষ্ট পুষ্টির দরকার হয়। এদিকে ভুট্টায় থাকে ফলিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড গর্ভে সন্তানের বেড়ে ওঠা এবং পুষ্টির জন্য ভীষণভাবে জরুরি।
কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে
ভুট্টায় ভিটামিন সি, বায়োফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ফাইবার থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। কোলেস্টরল যেখানে আমাদের নিত্যসঙ্গী, সেখানে ভুট্টায় থাকা এই জিনিসগুলো কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শিরা-ধমনীও থাকে ঝামেলা মুক্ত। স্বাভাবিকভাবেই হার্টের সমস্যাও অনেকটাই কম হয়।
কোষ্টকাঠিন্য কমায়
ফাস্ট লাইফ স্টাইল আর ফাস্টফুডে ভরসা করি সবাই। তাই বাড়িতে রান্না করা সবজি এখন আমরা খুবই কম খাই। আর এতে করে পেটের সমস্যা হচ্ছে প্রায়ই। কোষ্টকাঠিন্যের জন্য সারাদিনই যাচ্ছে নষ্ট হয়ে। ভুট্টায় থাকা ফাইবার সহজেই এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। অনেক সময়েই আমাদের পায়ুনালি এবং অন্ত্র সঠিকভাবে পরিষ্কার হয় না, কিন্তু ভুট্টায় থাকা ফাইবার দায়িত্ব নিয়ে এই কাজটা করে দেয়। তাই কোষ্টকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে ভুট্টা খেতেই পারেন প্রায়ই।
স্কিন সুন্দর করে
ভুট্টায় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে অনেকটাই। এই প্রতিটা জিনিসই চামড়া টানটান করে রাখে। তাই চোখের নিচে যে সমস্যা ৩০ থেকে ৪০ বছরে শুরু হয়, তা ভুট্টা খেলে অনেকটাই আয়ত্তে রাখা সম্ভব হয়।
হাড় শক্ত করে
জিঙ্ক, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন থাকে ভুট্টায়। তাই ভুট্টা যত খাবেন, এই মিনারেলগুলো আপনার শরীরে পৌঁছে যাবে। আর এগুলোই আপনার আর্থ্রাইটিসের ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।