Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরোধপূর্ণ এলাকায় হস্তক্ষেপ করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতি বিদ্রোহীদের আহবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কাশ্মীরের এক বিদ্রোহী কমান্ডার রোববার বলেছেন যে জাতিসংঘ যদি শান্তিরক্ষী না পাঠায় তবে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণকে রক্ষার জন্য পাকিস্তানের সৈন্য পাঠানো উচিত। কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত ডজনখানেক গ্রæপকে নিয়ে গঠিত একটি জোটের প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিন বলেন, প্রথম ইসলামি পরমাণু শক্তি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব হলো এই ভ‚খÐের লোকজনকে সামরিকভাবে সহায়তা করা। গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর ঘরোয়াভাবে চাপ বাড়ার বিষয়টিই প্রকাশিত হয়েছে তার এই মন্তব্যে। ভারতীয় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইমরান খান এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক ক‚টনৈতিক কার্যক্রমই চালিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মোজাফফরাবাদে শত শত লোকের এক সমাবেশে সালাহউদ্দিন বলেন, এখন পরীক্ষার সময়। কেবল ক‚টনৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থনে কাজ হবে না। ভারতের ওই পদক্ষেপের ফলে ভারতীয় সংবিধানে থাকা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হয়ে গেছে। এর ফলে ভারতের অন্যান্য এলাকার লোকজন সেখানে গিয়ে ভ‚-সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবে। ভারত সরকার বলছে, কাশ্মীরের উন্নয়নের ব্যবস্থা করার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপেক্ষুব্ধ হয়েছে কাশ্মীরের লোকজন। ৫ আগস্টের পর থেকে টেলিফোন লাইন, ইন্টারনেট, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। লোকজনের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়ে কাশ্মীরের অংশবিশেষ শাসন করে, উভয় দেশই পুরো কাশ্মীর দাবি করে। ইসলামাবাদ চলতি বছর ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের দেশে থাকা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সালাহউদ্দিন বলেন, পাকিস্তান সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলেই তার গ্রæপ কিছু করতে পারছে না। তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকার ওইসব পদক্ষেপের ফলে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে পারছি না। পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকার দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছে। ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি চালাতে বিদ্রোহীদের পাঠানোর প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। সালাহউদ্দিন ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বাদগাম শহরের লোক। ওয়াশিংটন ২০১৭ সালে তাকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করে। তবে পাকিস্তান সরকার এই পদক্ষপকে ওই সময় অযৌক্তিক বলে দাবি করেছিল। এসএএম।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাশ্মীর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ