Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরে প্রতিবন্ধীর বসত ভিটা ভেঙ্গে দিল মাওলানা সামাদ

মানবেতর জীবন-যাপন

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ৬:০০ পিএম

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে স্থানীয় প্রভাবশালী মাওলানা আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিবন্ধীর বসত ঘর ভেঙ্গে জোর-পূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার ২৮ আগস্ট বিকেলে উপজেলার রাঢ়ীখাল ইউনিয়ন প্রানীমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার প্রানীমন্ডল মৌজার আর.এস ৫৬৬ নং খতিয়ানের ৩৬১ নং দাগের ১৪ শতাংশ বাড়ি ও ৪০৯ নং দাগের সোয়া ২ শতাংশ নাল জমিসহ মোট সোয়া ১৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে মৃত বন্দর আলীর ছেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মাওলানা আব্দুস সামাদ শেখের সাথে মামলা চলছিল। যাহার প্রিভেনসন মোকাদ্দমা নং- ১৫/২০০৭। মামলায় আব্দুস সামাদ মাওলানা আদালতের রায় পায়। আদালতের নির্দেশে ম্যাজিষ্ট্রেট সোয়া ১৬ শতাংশ জায়গার স্থাপনা ভেঙ্গে সামাদ মাওলানাকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যায়। পর মুহুর্তে স্থানীয় প্রভাবশালী মাওলানা আব্দুস সামাদ ও হারুন শেখের ছেলে শাহিনের নেতৃত্বে বহিরাগত প্রায় ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আলাদা ভাবে একই দাগে ক্রয় কৃত সোহাগের ৩ শতাংশসহ ও বাসেদ শেখ নামে অন্য শরিকের সোয়া ২ শতাংশ জায়গার বসত ঘর ভেঙ্গে জোড় পূর্বক জবর-দখল করে বেড়া দিয়ে দেয়। অসহায় দিন মজুর শারীরিক প্রতিবন্ধি সোহাগ তার পরিবারের প্রায় ২৫ জন সদস্য নিয়ে বাড়ির সরকারি রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।

ভূক্তভোগী সোহাগ আরো বলেন, গত কাল শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ শ্রীনগর থানা পুলিশ রাস্তার পাশে নির্মিত ডেরা ভেঙ্গে দেয় এবং পূনরায় রাস্তার পাশে ডেরা করলে সবাইকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে শাসিয়ে যায়। অসহায় পরিবারটি ভয়ে ও আতংকে দিন কাটছে।

জোর পুর্বক বসত ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখল বিষয়ে মাওলানা সামাদের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসত বাড়ির সম্পূর্ন জায়গার রায় আমি পেয়েছি। রায়ের কাগজ দেখতে চাইলে তিনি কাগজ দেখাতে অস্বিকার করেন।

এ ব্যপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোয়া ১৬ শতাংশ জায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চলছে বলে আমরা জানি। এ বিষয়ে স্থানীয় রাঢ়ীখাল ইউপি চেয়ারম্যান বারেক খান বারির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামাদ মাওলনা ও ভাগ্যবিবির মাঝে মামলা নিয়ে আমরা ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর সালিশ বৈঠকে বসি। এসময় প্রানীমন্ডল গ্রামের ইউপি সদস্য আমির দেওয়ান ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ, মাইজপাড়ার ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ,দামলা ইউপি সদস্য ফারুক ঢালী, মহিলা ইউপি সদস্য রোমা বেগম, দামলা গ্রামের সালাম আজাদ ও স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিত ছিলেন। সালিশ মিমাংসার সিন্ধান্ত মতে সোহাগের মা ভাগ্য বিবি মামলা উঠিয়ে নিবে এবং মাওলানা আব্দুর সামাদ ভাগ্য বিবিকে ১০ শতাংশ জায়গা লিখে বুঝিয়ে দিবেন। ভাগ্যবিবি মামলা উঠিয়ে নেওয়ার পর মাওলানা সামাদ ভাগ্যবিবিকে জায়গা লিখে না দিয়ে নানা ধরনের টাল বাহানা শুরু করেন। পরে মওলানা উচ্ছেদ মামলা করে রায় পেয়ে যায়।

এ ব্যপারে শ্রীনগর থানার তদন্ত অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় চলাচলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এলাকাবাসী সরেজমিনে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের অতি দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতিবন্ধী

১৪ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ